ICC Test Cricket Championship

দেশের বোর্ডের উপর অসন্তুষ্ট ক্রিকেটার, নেপথ্যে সেই টি-টোয়েন্টি লিগ

জানুয়ারি মাসে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে দু’টি টেস্ট খেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু সেই সময় দক্ষিণ আফ্রিকায় টি-টোয়েন্টি লিগ চলছিল। তাই টেস্ট খেলতে দেওয়া হয়নি রাবাডাদের। যা নিয়ে অসন্তুষ্ট তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:০২
Representative image of cricket

—প্রতীকী চিত্র।

এক দিকে টেস্ট ক্রিকেট চলছে। একই সময়ে চলছে আইপিএল। সেই কারণে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের বাদ দিয়ে টেস্ট খেলতে গেল দল। আর সেই দলের অধিনায়ক হলেন হয়তো একটিও টেস্ট না খেলা কোনও ক্রিকেটার। এমন পরিস্থিতি হলে কেমন হত? ভারতীয় দলে না হলেও এমন ঘটনাই ঘটে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে। যা নিয়ে এখনও ক্ষোভ রয়েছে পেসার কাগিসো রাবাডার। বোর্ডের উপর অসন্তুষ্ট তিনি।

Advertisement

এই বছর জানুয়ারি মাসে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে দু’টি টেস্ট খেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু সেই সময় দক্ষিণ আফ্রিকায় টি-টোয়েন্টি লিগ চলছিল। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার সব প্রথম সারির ক্রিকেটারেরা খেলছিলেন। সেই কারণে টেস্ট খেলতে এমন ক্রিকেটারদের পাঠানো হয়, যাঁদের কোনও অভিজ্ঞতাই নেই। রাবাডা বলেন, “খুব খারাপ হয়েছিল। আমি এখনও মেনে নিতে পারি না ওই ঘটনাটা। ভুল পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এমন সূচি মেনে নেওয়া যায় না।”

রাবাডারা টেস্ট খেলতে যেতে পারেননি। তাঁদের জায়গায় সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। নিল ব্র্যান্ডকে অধিনায়ক করা হয়েছিল। তিনি অভিষেক ম্যাচেই অধিনায়ক হিসাবে খেলেছিলেন। তাঁদের কৃতিত্বকে যদিও ছোট করতে রাজি নন রাবাডা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার বলেন, “ক্রিকেটারদের সঙ্গে উচিত ব্যবহার করা হয়নি। বলা হচ্ছিল বেশ কিছু ক্রিকেটার হঠাৎ করে দেশের হয়ে খেলার টুপি পেয়ে গেল। এটা ঠিক নয়। ক্রিকেটারদের উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়ার কোনও মানে নেই। ওদের বলা হয়েছিল দেশের হয়ে খেলতে। ওরা সেটা করেছে। বোর্ড বললে তো ওরা না বলতে পারবে না।”

দেশের টি-টোয়েন্টি লিগকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে টেস্ট ক্রিকেটকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে মনে করেন রাবাডা। তিনি বলেন, “খুব উপর মহলে পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। সেই কারণেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে খেসারত দিতে হল। একই দিনে দু’জায়গায় খেলা রাখলে যা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি লিগকে গুরুত্ব দেওয়া হল, তাই আমরা নিউ জ়িল্যান্ডে গিয়ে টেস্ট খেলতে পারলাম না। এটা নিজের পায়ে কুড়ুল মারার মতো ঘটনা। টেস্ট ক্রিকেটই আমার মতে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত। সেটাই ক্রিকেটের সেরা ফর্ম্যাট। যে কোনও বড় ক্রিকেটারকে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা এটাই বলবে। আমার কাছেও টেস্টই সেরা।”

আরও পড়ুন
Advertisement