শুভমন গিল (বাঁ দিকে) এবং সারা তেন্ডুলকর। ছবি: পিটিআই।
বিশ্বকাপে প্রথম শতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন দারুণ ভাবেই। কিন্তু ৯২ রানের মাথায় খারাপ শট খেলে ফিরলেন শুভমন গিল। বিশ্বকাপের শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার শুভমনের শতরান এল না ঠিকই, কিন্তু আগ্রাসী খেলে মন জয় করে নিলেন ভারতের ওপেনার। আউট হয়ে শুভমন সাজঘরে ফেরার সময় উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিলেন সারা তেন্ডুলকর, যাঁর সঙ্গে শুভমনের সম্পর্ক নিয়ে অনেক চর্চাই চলছে।
চলতি বিশ্বকাপে প্রথম দু’টি ম্যাচে ডেঙ্গির জন্যে খেলতে পারেননি শুভমন। পাকিস্তান ম্যাচে ফেরার পর থেকে একটিই অর্ধশতরান পাওয়া গিয়েছে তাঁর ব্যাট থেকে। বৃহস্পতিবার দাপুটে খেলে অর্ধশতরান করার পর থেকেই মুম্বইবাসী প্রার্থনা শুরু করে দিয়েছিল শুভমনের শতরানের। বিশেষত যেখানে গ্যালারিতে সারা এবং সচিন তেন্ডুলকর হাজির রয়েছেন। শুভমন খেলছিলেনও সে ভাবেই।
প্রথম দিকে শ্রীলঙ্কার বোলারেরা দাপট দেখানোর সময় তাঁদের সময় দিয়েছিলেন শুভমন। অকারণে তাড়াহুড়ো করতে যাননি। ক্রিকেটীয় শট খেলে খুচরো রান নেওয়ার দিকে জোর দিয়েছিলেন। কিন্তু ক্রিজে এক বার থিতু হয়ে যাওয়ার পর আর তাঁকে থামানো যায়নি। একের পর এক দর্শনীয় শট খেলতে থাকে। রান আসতে থাকে। স্ট্রাইক রেটও বাড়তে থাকে। কোহলির থেকে রানে অনেকটাই পিছিয়ে থাকলেও আগ্রাসী খেলে তাঁকে ছুঁয়ে ফেলেন এবং পেরিয়েও যান। এক সময় মনে হচ্ছিল আগে শুভমনই শতরান করবেন।
কিন্তু ৯২ রানের মাথায় বিপর্যয়। ধীরগতির বল করেছিলেন দিলশান মদুশঙ্ক। বুকের উপরে আসা বল উইকেটকিপারের মাথায় উপর দিয়ে হয়তো বাউন্ডারিতে পাঠাতে গিয়েছিলেন শুভমন। কিন্তু ব্যাটে হালকা ছোঁয়া লেগে বল জমা পড়ে উইকেটকিপার কুশল মেন্ডিসের হাতে। তখনই ক্যামেরা ধরে দর্শকাসনে বসে থাকা সারাকে। তিনি দু’হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলেন। তবে শুভমন সাজঘরে ফেরার সময় উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিতে থাকেন সচিন-কন্যা।
এ বছরের ষষ্ঠ শতরান হওয়ার সুযোগ ছিল শুভমনের সামনে। বছরের শুরুতে এই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেই একটি শতরান করেছিলেন তিরুঅনন্তপুরমে। তার পরের ম্যাচেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিশতরানও রয়েছে। এর পর আরও তিনটি শতরান করেন। কিন্তু ষষ্ঠ শতরান এখনও অধরাই থাকল শুভমনের।