Shoaib Akhtar

নির্মাতার সঙ্গে মতবিরোধ, চুক্তি বাতিল করে জীবনীচিত্র তৈরির কাজ থামালেন ক্ষুব্ধ শোয়েব

গত বছর জুলাই থেকে শুরু হয়েছিল শোয়েবের জীবনীচিত্র তৈরির কাজ। মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল আগামী ১৩ নভেম্বর। বার বার চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়ালেন শোয়েব নিজেই।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:২৮
বার বার চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে জীবনীচিত্র নির্মাতার সঙ্গে চুক্তি ভাঙলেন শোয়েব।

বার বার চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে জীবনীচিত্র নির্মাতার সঙ্গে চুক্তি ভাঙলেন শোয়েব। ছবি: টুইটার।

নিজের জীবনীচিত্র নিয়ে আগ্রহ হারিয়েছেন শোয়েব আখতার। প্রথমে রাজি হলেও নির্মাতাদের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ তিনি। জীবনীচিত্রর সঙ্গে নিজেকে আর যুক্ত রাখতে চান না বলে জানিয়েছেন শোয়েব। কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন জোরে বোলার।

আগামী ১৩ নভেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল শোয়েবের ক্রিকেট জীবন তৈরি সিনেমা ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেসের’। গত বছর জুলাই থেকে শুরু হয়েছে শোয়েবের জীবনীচিত্র তৈরির কাজ। প্রাক্তন ক্রিকেটার নিজেই প্রকাশ করেছিলেন প্রচার ভিডিয়ো। সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিল। হঠাৎই জীবনীচিত্রের নির্মাতার সঙ্গে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে শোয়েবে। ক্ষুব্ধ প্রাক্তন ক্রিকেটার সমাজমাধ্যমে নির্মাতার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করার কথা জানিয়েছেন।

Advertisement

শোয়েব বলেছেন, ‘‘দুঃখের সঙ্গে সকলকে জানাচ্ছি কয়েক মাস অনেক ভাবার পর এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম। নিজেকে ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আইনজীবীদের পরামর্শ নিয়ে নির্মাতার সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল করেছি।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘অবশ্যই স্বপ্নের প্রকল্প ছিল এটা। নিজেকে সংযত রাখার অনেক চেষ্টা করেছি। বিষয়টার সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সব কিছু ঠিক মতো হচ্ছে না। মতবিরোধের বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধান করা সম্ভব হল না। ক্রমাগত চুক্তি লঙ্ঘনের ফলে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হলাম। আমার জীবনের সব গল্পের অধিকার প্রত্যাহার করেছি আইনসিদ্ধ ভাবে। এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা সম্ভব নয়। এর পরেও যদি নির্মাতা আমার জীবনের কোনও গল্প বা আমার নাম ব্যবহার করার চেষ্টা করেন, তা হলে আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।’’

শোয়েবের জীবনীচিত্র নিয়ে পাকিস্তান তথা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে দারুণ আগ্রহ ছিল। বিশ্বের দ্রুততম বোলারের জীবন সংগ্রামের কথা জানতে আগ্রহী ছিলেন সকলেই। শোয়েবের এই সিদ্ধান্তে অনেকেই হতাশ। কেউ কেউ তাঁকে আরও এক বার ভেবে দেখার কথাও বলেছেন। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের হয়ে ৪৬টি টেস্ট, ১৬৩টি এক দিনের ম্যাচ এবং ১৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ক্রিকেটের দ্রুততম বলের রেকর্ডের মালিক।

আরও পড়ুন
Advertisement