কেকেআর জার্সিতে ফিল সল্ট। —ফাইল চিত্র।
গত তিন বারের অধিনায়ককে এ বার আর ধরে রাখেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। মাত্র ২ কোটি টাকায় ফাফ ডুপ্লেসিকে দিল্লি ক্যাপিটালস কিনলেও বেঙ্গালুরু কোনও আগ্রহ দেখায়নি। বদলে এ বারের নিলামে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হাত থেকে ফিল সল্টকে ছিনিয়ে নিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত লড়াই করলেও শেষ পর্যন্ত পারেনি কেকেআর। সাড়ে ১১ কোটি টাকায় ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক-ব্যাটারকে কিনেছে বেঙ্গালুরু। গত বারের অধিনায়ক ডুপ্লেসিকে বাদ দিয়ে কেন সল্টকে কিনল বিরাট কোহলিদের দল? কারণ জানাল বেঙ্গালুরু।
সল্টকে কেনার নেপথ্যে বেঙ্গালুরুর পরিকল্পনার কথা ফাঁস করেছেন দলের ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট অপারেশনস্ মো বোবাট ও ব্যাটিং কোচ দীনেশ কার্তিক। নিলামের আগে সমর্থকদের কাছে বেঙ্গালুরু জানতে চেয়েছিল কোহলির সঙ্গে তাঁরা কাকে ওপেনার হিসাবে দেখতে চান। বেশির ভাগ সমর্থক ডুপ্লেসির নাম করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে নেয়নি বেঙ্গালুরু।
কার্তিক জানিয়েছেন, ডুপ্লেসির বয়স তাঁর বিরুদ্ধে গিয়েছে। পাশাপাশি তাঁরা এমন এক জনকে চাইছিলেন যিনি ইনিংসের প্রথম ওভারেই ছক্কা মারার ক্ষমতা রাখেন। কার্তিক বলেন, “আমরা এমন এক জন বিদেশি ওপেনার চাইছিলাম যে ৪০, ৫০, ৬০ বলে শতরান করতে পারে। প্রথম ওভার থেকে যার ছক্কা মারার ক্ষমতা থাকে। জস বাটলার ও সল্ট বার বার এই কাজ করেছে। তাই ওদের নেওয়ার লক্ষ্যে নেমেছিলাম। শেষ পর্যন্ত সল্টকে পেয়েছি।”
ভারতীয় ওপেনারের দিকে তাকায়নি বেঙ্গালুরু। কারণ, বিধ্বংসী ভারতীয় ওপেনার নিলামে তেমন কেউ নামেননি বলেই জানিয়েছেন কার্তিক। দলের ব্যাটিং কোচ বলেন, “ভারতীয়দের মধ্যে ঈশান কিশন ছাড়া আর কাউকে তেমন দেখিনি নিলামে। তা-ও কিশনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই আমরা বিদেশির দিকে তাকিয়েছি।”
গত মরসুমে কেকেআরের হয়ে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন সল্ট। দলের দ্বিতীয় সর্বাধিক রান করেছেন তিনি। গত মরসুম থেকেই সল্টের দিকে নজর ছিল বেঙ্গালুরুর। কার্তিক বলেন, “সল্ট প্রতি চার ওভারের মধ্যে এক ওভারে ১৬ বা তার বেশি রান করেছে। প্রতি দু’ওভারের মধ্যে এক ওভারে ১২ রান বা তার বেশি করেছে। আমরা ওপেনিংয়ের জন্য সল্ট ও উইল জ্যাকসের দিকে তাকিয়েছিলাম। কিন্তু সল্ট ওপেনারের পাশাপাশি উইকেটরক্ষক। টি-টোয়েন্টিতে ওর ধারাবাহিকতা বেশি। সেই কারণে ওকে কিনেছি।”
বেঙ্গালুরুর হয়ে ৪৫টি ইনিংসে ৩৮.০৫ গড় ও ১৪৭ স্ট্রাইক রেটে ১৬৩৬ রান করেছেন ডুপ্লেসি। ১৫টি অর্ধশতরান করেছেন তিনি। গত মরসুমেও ২৯.২০ গড় ও ১৬১.৬২ স্ট্রাইক রেটে ৪৩৮ রান করেছেন তিনি। ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেললেও ডুপ্লেসির দিকে তাকায়নি বেঙ্গালুরু। তুলনায় গত বার কেকেআরকে চ্যাম্পিয়ন করতে বড় ভূমিকা নেওয়া সল্টকে নিতে ঝাঁপিয়েছে তারা। এখন দেখার, বেঙ্গালুরুতে গিয়েও একই রকম ধারাবাহিকতা সল্ট দেখাতে পারেন কি না।