বিরাট কোহলি এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন। —ফাইল চিত্র।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে শেষ দু’টি এক দিনের ম্যাচে খেলেননি রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি। বিশ্বকাপের আগে তাঁদের এই না খেলার সিদ্ধান্ত ঠিক নয়, বলে মনে করছেন অনেকে। কিন্তু রবিচন্দ্রন অশ্বিন মনে করেন বিরাটদের এই বিশ্রামে উপকারই হবে। ভারতীয় স্পিনারের মতে কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা কোচ এবং অধিনায়ককে দোষ দেওয়ার জন্য বসে থাকেন।
এই বছর এক দিনের বিশ্বকাপ। ৫ অক্টোবর থেকে ভারতের মাটিতে শুরু হবে সেই প্রতিযোগিতা। তার আগে রোহিত এবং বিরাটকে বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত দলের ক্ষতি করবে বলে মনে করছেন অনেকে। কিন্তু অশ্বিন তা মানছেন না। তাঁর মতে অনেক ক্রিকেটার বেশি খেলার ফলে চোট পাচ্ছে। এমন অবস্থায় বিশ্বকাপের আগে বিরাট, রোহিতদের উপর বাড়তি চাপ না দেওয়ার পক্ষপাতী তিনি। অশ্বিন বলেন, “একাধিক ক্রিকেটার জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে সুস্থ হওয়ার জন্য পরিশ্রম করছে। যশপ্রীত বুমরা অনেক দিন পর ফিরেছে। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ ফিরেছে। ম্যানেজমেন্টকে দোষ দেওয়া কিছু লোকের স্বভাব।”
অশ্বিন মনে করেন, ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচ হেরেছে বলেই এত কথা হচ্ছে। ভারতীয় স্পিনার বলেন, “ওয়েস্ট ইন্ডিজ় এমন একটা দল যারা বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। সেই দলের বিরুদ্ধে আমরা হেরে যাওয়ায় অনেকে অবাক হয়ে গিয়েছে। অনেকে মনে করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের কাজই হচ্ছে বিশ্বকাপ জেতা। সমর্থকেরা মনে করে আইপিএলে ভারতীয় ক্রিকেটারেরা ভাল খেলছে মানেই তারা বিশ্বকাপ জিতবে।”
টেস্ট সিরিজ়ে ১-০ জিতেছিল ভারত। এক দিনের ক্রিকেটে একটি ম্যাচ হারলেও ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল তারা। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়। সেখানে রোহিত বা বিরাটের কাউকে দলে রাখা হয়নি। হার্দিক পাণ্ড্যের নেতৃত্বে খেলবে ভারত।
সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতীয় দলে জায়গা না পেলেও লাল বলের ক্রিকেটে এখনও দলের অন্যতম সদস্য অশ্বিন। যদিও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে তাঁকে খেলানো হয়নি। সেই নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়। সেই অশ্বিন ভারতের বাজ়বল (ইংল্যান্ডের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালামের ডাকনাম বাজ়। তাঁর সময়ে ইংল্যান্ড যে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলছে সেটার এই নাম দেওয়া হয়েছে।) খেলা বা না খেলা নিয়ে মুখ খুললেন।
অশ্বিন বলেন, “আমরা টেস্ট ক্রিকেটটা ভাল খেলছি। কিন্তু আমরা একটা পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাব। সেই সময়টা সহজ হবে না। অনেক রকম সমস্যা হবে। কিন্তু ভেবে নিন ভারত বাজ়বল খেলতে শুরু করল। হ্যারি ব্রুকের মতো ভারতীয় ব্যাটারেরা যে কোনও সময় ব্যাট করতে নেমে আক্রমণ করছে। ব্যাট চালাচ্ছে। সেটা করতে গিয়ে আউট হয়ে গেল তারা। দুটো টেস্ট ম্যাচ হেরে গেল। তখন কী হবে? তখন আমাদের ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানো হবে? তাদের বলা হবে এই ভাবেই খেলে যাও? না। দলের অন্তত চার জন ক্রিকেটার বাদ পড়বে। এটাই ভারতীয় ক্রিকেটের সংস্কৃতি। অন্যেরা এক ধরনে ক্রিকেট খেলে সাফল্য পাচ্ছে বলে আমরা কখনও তাদের খেলার ধরন অনুকরণ করতে পারি না।”