শেষ ম্যাচ চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে। বরোদার সঙ্গে তাদের ম্যাচ ড্র হয়ে গিয়েছে। ১২ পয়েন্ট নিয়ে এলিট গ্রুপের শীর্ষে বাংলা। দ্বিতীয় স্থানে হায়দরাবাদ। তাদের সংগ্রহ ছয় পয়েন্ট। তিন পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে বরোদা। একদম শেষে রয়েছে চণ্ডীগড়। তাদের সংগ্রহ এক পয়েন্ট। এমন অবস্থায় হায়দরাবাদ ছাড়া কোনও দলের পক্ষেই বাংলার পয়েন্টকে ছোঁয়া সম্ভব নয়।
অরুণ লাল। —ফাইল চিত্র
প্রথম ম্যাচে বরোদার বিরুদ্ধে জিতলেও প্রথম ইনিংসে ৮৮ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসে যদিও ৩৫০ রান তুলে যেতে তারা। সেই জয়ের পিছনে বড় অবদান ছিল অভিমন্যু ঈশ্বরণ, শাহবাজ আহমেদ এবং অভিষেক পোড়েলের। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধেও প্রথম ইনিংসে দলের ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান সেই শাহবাজ এবং অভিষেক। দ্বিতীয় ইনিংসে ঋত্বিক চক্রবর্তী এবং অনুষ্টুপ মজুমদার রান পেলেও নিজেদের ইনিংসকে খুব বেশি বড় করতে পারেননি। অলরাউন্ডার শাহবাজ যদিও অর্ধশতরান করে যান। ব্যাটে রান নেই সুদীপ ঘরামি, মনোজ তিওয়ারিরও। এমন অবস্থায় বাংলা দলের ব্যাটিং নিয়ে চিন্তিত অরুণ লাল।
হায়দরাবাদকে ৭২ রানে হারানোর পর আনন্দবাজার অনলাইনকে বাংলার কোচ বলেন, “দল খুব ভাল লড়াই করেছে। আমাদের ব্যাটিং যদি ছন্দে চলে আসে, তা হলে আরও শক্তিশালী দল হয়ে উঠব আমরা।” পর পর দুই ম্যাচ জিতে নক আউটে যাওয়ার রাস্তা প্রায় পরিষ্কার করেই ফেলেছেন ঈশান পোড়েলরা। বাংলার বোলারদের প্রশংসা করছিলেন সহকারী কোচ সৌরাশিস লাহিড়ীও। তিনি কটক থেকে ফোনে বলেন, “শেষ দিনের পিচে বোলারদের কিছু ছিল না। কিন্তু কেউ হাল ছেড়ে দেয়নি। সবাই ইতিবাচক মানসিকতা দেখিয়েছে। দিনের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলিতে আমরা উইকেট তুলতে পেরেছি।”
শেষ ম্যাচ চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে। রবিবার বরোদার সঙ্গে তাদের ম্যাচ ড্র হয়ে গিয়েছে। ১২ পয়েন্ট নিয়ে এলিট গ্রুপের শীর্ষে বাংলা। দ্বিতীয় স্থানে হায়দরাবাদ। তাদের সংগ্রহ ছয় পয়েন্ট। তিন পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে বরোদা। একদম শেষে রয়েছে চণ্ডীগড়। তাদের সংগ্রহ এক পয়েন্ট। এমন অবস্থায় হায়দরাবাদ ছাড়া কোনও দলের পক্ষেই বাংলার পয়েন্টকে ছোঁয়া সম্ভব নয়।
সৌড়াশিস বলেন, “শেষ ম্যাচেও আমাদের লক্ষ্য থাকবে সরাসরি জয়। সব ক্রিকেটার সুস্থ আছে। শেষ ম্যাচের আগে বেশ কিছু দিন বিশ্রামও পাবে তারা। এমন অবস্থায় জেতা ছাড়া অন্য কিছু ভাবছিই না।” শেষ ম্যাচ জিতলে গ্রুপ শীর্ষে থেকে নক আউট পর্বে চলে যাবে বাংলা। সেই নক আউট পর্ব যদিও খেলা হবে আইপিএল-এর পর। মাঝে অনেকটা সময় পাবে তারা। অরুণ লাল জানেন নক আউটের লড়াই বেশ কঠিনই হবে। গত বারের রঞ্জি রানার্সদের জিততে হলে শুধু বোলিং নয়, ব্যাটিংয়েও সেরা ছন্দ প্রয়োজন। নক আউটে দলের ব্যাটারদের সেরা ছন্দেই চাইবেন বাংলার কোচ।
রবিবার জয়ের জন্য সাত উইকেট প্রয়োজন ছিল বাংলার। মধ্যাহ্নভোজের আগেই হায়দরাবাদের ছয় উইকেট পড়ে যায়। পরের সেশনেই বাকি উইকেট তুলে ম্যাচ জিতে নেন শাহবাজ আহমেদরা। ৭২ রানে ম্যাচ যেতে বাংলা। দলের জয়ে খুশি সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া। তিনি বলেন, “পর পর দুই ম্যাচ জয়ের জন্য দলকে অভিনন্দন। জেতা সব সময়ই আনন্দের, কিন্তু এরকম দাপটের সঙ্গে জয় আলাদা আনন্দ দেয়। এরকম লৌহ্যকঠিন মানসিকতা দেখানোর জন্য দলের সকলকে অভিনন্দন। বিশেষ করে পেসার যে ভাবে বল করেছে তা তুলনাহীন। কোচদেরও শুভেচ্ছা দলের মধ্যে এরকম আত্মবিশ্বাস এবং জয়ের মানসিকতা তৈরি করে দেওয়ার জন্য।” দলের প্রশংসা করেছেন সিএবি সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ও। জয়ের ধারা ধরে রাখতে বলেছেন তিনি।