এ বার খেলা ঘরের মাঠে। ইডেনে রঞ্জির ফাইনাল খেলতে নামবেন মনোজ তিওয়ারিরা। বদলার সুযোগ তাঁদের সামনে। —ফাইল চিত্র
গত বার রঞ্জির সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশের কাছে হেরে রঞ্জি থেকে ছিটকে গিয়েছিল বাংলা। এ বারের সেমিফাইনালে সেই মধ্যপ্রদেশকে হারিয়ে বদলা নিয়েছে বাংলা। ফাইনালে উঠে আরও একটা বদলার সুযোগ রয়েছে মনোজ তিওয়ারিদের সামনে।
তিন বছর আগে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে উঠে হারতে হয়েছিল বাংলাকে। সৌরাষ্ট্রের কাছে হারতে হয়েছিল মনোজদের। এ বার আবার সামনে সেই সৌরাষ্ট্র। অপর সেমিফাইনালে কর্নাটককে ৪ উইকেটে হারিয়েছে তারা। আগের বার সৌরাষ্ট্রের ঘরের মাঠে খেলতে হয়েছিল বাংলাকে। এ বার নিজেদের ঘরের মাঠে খেলবেন মনোজরা। ইডেন গার্ডেন্সে সৌরাষ্ট্রকে হারিয়ে তিন বছর আগের হারের বদলা নেওয়ার সুযোগ বাংলার সামনে।
২০১৯-২০ মরসুমে রঞ্জির ফাইনাল খেলেছিল বাংলা ও সৌরাষ্ট্র। সেই শেষ বার বাংলার ফাইনালে ওঠা। সে বার রাজকোটে প্রথমে ব্যাট করে ৪২৫ রান করেছিল সৌরাষ্ট্র। শতরান করেছিলেন অর্পিত বাসবদা। অর্ধশতরান করেছিলেন বিশ্বরাজ জাডেজা, অভি বারোট ও চেতেশ্বর পুজারা। বাংলার প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছিল ৩৮১ রানে। সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, ঋদ্ধিমান সাহা ও অনুষ্টুপ মজুমদার অর্ধশতরান করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ১০৫ রান করেছিল সৌরাষ্ট্র। প্রথম ইনিংসের লিডে রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা।
এ বারের মরসুমে কোয়ার্টার ফাইনালের পর সেমিফাইনালেও ম্যাচের সেরা হয়েছেন আকাশ দীপ। দু’টি ম্যাচেই ছ’উইকেট করে নিয়েছেন বাংলার পেসার। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে শতরান করেন অনুষ্টুপ মজুমদার এবং সুদীপ ঘরামি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮০ রান করেন অনুষ্টুপ। ভুল আউটের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়তে তাঁকে দ্বিতীয় ইনিংসে। আকাশ প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেন। তাঁর দাপটে মধ্যপ্রদেশ শেষ হয়ে যায় ১৭০ রানে। ২৬৮ রানে লিড পেয়ে যায় বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে ৫৪৮ রানের বিরাট লক্ষ্য রাখে তারা মধ্যপ্রদেশের সামনে। ২৪১ রানে অলআউট হয়ে যায় মধ্যপ্রদেশ। ৩০৬ রানে ম্যাচ জেতে বাংলা।
এ বারের রঞ্জিতে প্রথম ম্যাচ থেকেই ছন্দে রয়েছে বাংলা। ধারাবাহিক ভাবে রান করেছেন ব্যাটাররা। উইকেট নিয়েছেন বোলাররা। তরুণ সুদীপ ঘরামি, অভিষেক পোড়েল, প্রদীপ্ত প্রামাণিকদের সঙ্গে অভিজ্ঞ মনোজ তিওয়ারি, অনুষ্টুপ মজুমদার, অভিমন্যু ঈশ্বরনদের মিশেল বাংলার জয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছে। ওপেনিং জুটি নিয়ে সমস্যা রয়েছে বাংলার। বার বার সেই জুটি বদলাতে হয়েছে, কিন্তু ওপেনারের ব্যর্থতা কখনও ঢেকে দিয়েছেন সুদীপ, কখনও অনুষ্টুপ, কখনও মনোজ।
১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে রঞ্জি ফাইনাল। সেই ম্যাচ খেলার আগে উচ্ছ্বাসে ভাসতে নারাজ বাংলা শিবির। মনোজ জানিয়েছিলেন এটাই তাঁর শেষ রঞ্জি। সেই প্রতিযোগিতা জিতে শেষ করতে চেয়েছিলেন তিনি। বাংলার অধিনায়কের কাছে সেই সুযোগ চলে এসেছে। তা-ও আবার ঘরের মাঠে।