রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে উঠল বাংলা। —ফাইল চিত্র
রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে বাংলা। অন্য সেমিফাইনালে সৌরাষ্ট্র জিতলে ইডেনে রঞ্জির ফাইনাল খেলতে পারেন মনোজ তিওয়ারিরা। ঘরের মাঠে ট্রফি জয়ের সুযোগ তাঁদের সামনে। ১৯৮৯-৯০ মরসুমের পর আবার রঞ্জি জয়ের মুখে বাংলা। বাকি আর একটিই ম্যাচ। মধ্যপ্রদেশকে ৩০৬ রানে হারিয়ে দিলেন মনোজরা।
পর পর তিন বার রঞ্জির সেমিফাইনাল খেলল বাংলা। এর আগে ২০১৯-২০ মরসুমে ফাইনালে উঠেছিল তারা। কিন্তু সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সে বার হেরে যায় বাংলা। এ বার আবার সেই সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই ফাইনালে খেলতে নামতে পারেন মনোজরা। বেঙ্গালুরুতে অন্য সেমিফাইনালে সৌরাষ্ট্র বনাম কর্নাটক ম্যাচে জয়ের দিকে পাল্লা ভারী ২০২০ সালের চ্যাম্পিয়নদেরই। সৌরাষ্ট্র জিতলে ইডেনেই তাদের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে বাংলা।
কোয়ার্টার ফাইনালের পর রঞ্জি সেমিফাইনালেও ম্যাচের সেরা হলেন আকাশ দীপ। দু’টি ম্যাচেই ছ’উইকেট নিয়েছেন বাংলার পেসার। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে শতরান করেন অনুষ্টুপ মজুমদার এবং সুদীপ ঘরামি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮০ রান করেন অনুষ্টুপ। ভুল আউটের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়তে তাঁকে দ্বিতীয় ইনিংসে। আকাশ প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেন। তাঁর দাপটে মধ্যপ্রদেশ শেষ হয়ে যায় ১৭০ রানে। ২৬৮ রানে লিড পেয়ে যায় বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে ৫৪৮ রানের বিরাট লক্ষ্য রাখে তারা মধ্যপ্রদেশের সামনে।
এ বারের রঞ্জিতে প্রথম ম্যাচ থেকেই ছন্দে রয়েছে বাংলা। ধারাবাহিক ভাবে রান করেছেন ব্যাটাররা, উইকেট নিয়েছেন বোলাররা। তরুণ সুদীপ ঘরামি, অভিষেক পোড়েল, প্রদীপ্ত প্রামাণিকদের সঙ্গে অভিজ্ঞ মনোজ তিওয়ারি, অনুষ্টুপ মজুমদার, অভিমন্যু ঈশ্বরনদের মিশেল বাংলার জয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছে। ওপেনিং জুটি নিয়ে সমস্যা রয়েছে বাংলার। বার বার সেই জুটি বদলাতে হয়েছে, কিন্তু ওপেনারের ব্যর্থতা কখনও ঢেকে দিয়েছেন সুদীপ, কখনও অনুষ্টুপ, কখনও মনোজ।
বোলারদের মধ্যে ধারাবাহিক ভাবে উইকেট নিয়েছেন আকাশ। মাঝে মুকেশ কুমার এবং শাহবাজ় আহমেদ ভারতীয় দলের সঙ্গে থাকায় খেলতে পারেননি। তাতেও বাংলার শক্তি কমেনি। যে ক্রিকেটারকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তিনিই রান করেছেন, উইকেট নিয়েছেন। আকাশ ঘটক নজর কেড়ে নিয়েছিলেন বেশ কিছু ম্যাচে।
১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে রঞ্জি ফাইনাল। সেই ম্যাচ খেলার আগে উচ্ছ্বাসে ভাসতে নারাজ বাংলা শিবির। মনোজ জানিয়েছিলেন এটাই তাঁর শেষ রঞ্জি। সেই প্রতিযোগিতা জিতে শেষ করতে চেয়েছিলেন তিনি। বাংলার অধিনায়কের কাছে সেই সুযোগ চলে এসেছে।