(বাঁ দিকে) রোহিত শর্মা এবং রাহুল দ্রাবিড়। — ফাইল চিত্র।
ভারতের নতুন কোচ খোঁজার প্রক্রিয়া চালু হয়ে গিয়েছে। বোর্ড বিজ্ঞাপন দিয়ে আগ্রহীদের থেকে আবেদন নেওয়াও শুরু করে দিয়েছে। এর মাঝেই একটি নতুন খবর প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, আবার কোচ হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছেন রাহুল দ্রাবিড়। ভারতের বর্তমান কোচ নিজের মেয়াদ আর বাড়াতে আগ্রহী নন।
কোচ হিসাবে জুন মাসে শেষ হচ্ছে দ্রাবিড়ের মেয়াদ। ভারতীয় বোর্ড যে চাহিদাগুলি রেখেছে, তা পালন করে দ্রাবিড় আবার কোচের পদে আবেদন করতেই পারেন। কিন্তু তিনি তা করবেন না বলেই জানা গিয়েছে। মন ঠিক করে নিয়েছেন তিনি।
এক ওয়েবসাইটের খবর অনুযায়ী, অনেক দিন আগেই দ্রাবিড় ঠিক করে নিয়েছিলেন আর কোচের পদে আবেদন করবেন না। গত বছর এক দিনের বিশ্বকাপের পর নতুন চুক্তিতে সই করেছিলেন তিনি। তখনই ঠিক করে নিয়েছিলেন এটাই তাঁর শেষ মেয়াদ হতে চলেছে।
ওই প্রতিবেদনে দাবি, দলের কিছু সিনিয়র ক্রিকেটার তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন, অন্তত আরও এক বছর টেস্ট দলের কোচ থেকে যাওয়ার জন্য। দ্রাবিড় সেটাও প্রত্যাখ্যান করেছেন। রাজি হলে হয়তো সাদা বলের জন্য আলাদা কোচ খুঁজতে হত ভারতীয় বোর্ডকে। কিন্তু নতুন যিনি আসবেন, তাঁকে তিন ফরম্যাটেরই দায়িত্ব দেওয়া হবে।
এ দিকে সূত্রের খবর, নিউ জ়িল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের সঙ্গে কথা বলছে বোর্ড। তাঁকে দ্রাবিড়ের উত্তরসূরি হিসাবে পেতে চাইছে বিসিসিআই। এখন চেন্নাই সুপার কিংসের কোচ ফ্লেমিং। আইপিএলে ২০০৯ সাল থেকে চেন্নাইয়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। সফল ভাবে কোচিং করাচ্ছেন। ট্রফি জিতিয়েছেন দলকে। দ্রাবিড়ের জায়গা নেওয়ার জন্য যথেষ্ট যোগ্য তিনি। আগামী দিনের দল তৈরি করার জন্য অনেকের মতে ফ্লেমিংয়ের থেকে ভাল কেউ হবেন না। কিন্তু দু’মাসের আইপিএল ছেড়ে ১০ মাস আন্তর্জাতিক দলের সঙ্গে থাকার পথে ফ্লেমিং হাঁটবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে অনেকের।
‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ফ্লেমিংয়ের সঙ্গে প্রাথমিক ভাবে কথা বলেছে বোর্ড। কিন্তু চেন্নাই দল তাঁকে রাখতে চায়। সেই দলের সঙ্গে এখনও ফ্লেমিং কোনও কথা বলেননি ছেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে।
অন্য দিকে, দ্রাবিড়ের জায়গায় দায়িত্ব নেওয়ার লড়াইয়ে রয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে ভিভিএস লক্ষ্মণের নাম। এই মুহূর্তে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির (এনসিএ) প্রধান তিনি। দ্রাবিড় সেই দায়িত্ব ছেড়ে জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তার পরেই এনসিএ-র দায়িত্ব দেওয়া হয় লক্ষ্মণকে। এ বার দ্রাবিড় জাতীয় দল থেকে সরে গেলে আসতে পারেন লক্ষ্মণ। দ্রাবিড় কোচ থাকার সময়ও লক্ষ্মণকে কয়েকটি সিরিজ়ে কোচ হিসাবে দেখা গিয়েছিল। দীর্ঘ দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর। ভারতীয় এ এবং অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দায়িত্ব সামলেছেন লক্ষ্মণ। তিনি ভারতের আগামী প্রজন্মের সঙ্গে যথেষ্ট পরিচিত। তাই লক্ষ্মণ দায়িত্ব নিতে চাইলে তাঁকেই কোচ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।