Champions Trophy 2025

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে নতুন বায়না পাক বোর্ডের, আবার সূচি ঘোষণায় দেরি, কী দাবি নকভিদের

আইসিসি জানিয়ে দিয়েছে, হাইব্রিড মডেল মেনেই হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তার পরেও সমস্যা করছে পাকিস্তান। নতুন বায়না করছে তারা। ফলে সূচি ঘোষণায় দেরি হচ্ছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:৫৯
cricket

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ঘিরে সমস্যা পুরো মেটেনি। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ কোথায় হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। —ফাইল চিত্র।

হাইব্রিড মডেল মেনে যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে তা পরিষ্কার। অর্থাৎ, প্রতিযোগিতার আয়োজক দেশ পাকিস্তান হলেও ভারতের ম্যাচগুলি সে দেশে হবে না। নিরপেক্ষ দেশে হবে। এ বার নতুন বায়না শুরু করে দিয়েছে মহসিন নকভির নেতৃত্বাধীন বোর্ড। ফলে প্রতিযোগিতার ফরম্যাট ঠিক হয়ে গেলেও সূচি ঘোষণায় দেরি হচ্ছে।

Advertisement

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক দেশ হিসাবে পাকিস্তানের নাম ঘোষণা হওয়ার পরেই ভারত সে দেশে খেলতে যেতে আপত্তি জানিয়েছিল। তাদের দাবি ছিল, নিরপেক্ষ দেশে খেলতে। নিরপেক্ষ দেশ হিসাবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির নাম উঠে এসেছিল। সে দেশে খেলা হল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হত দুবাইয়ে। কিন্তু পাকিস্তান চাইছে আমিরশাহির বদলে শ্রীলঙ্কায় ভারতের ম্যাচগুলি হোক। ২০২৩ সালে এশিয়া কাপের সময়ও পাকিস্তানের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কায় ভারতের ম্যাচগুলি হয়েছিল।

এই আবহে এখনও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি ঘোষণা করা হয়নি। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের পাশাপাশি নিরপেক্ষ দেশ হিসাবে কোন দেশের নাম পাকা হয় সেই অপেক্ষা করা হচ্ছে। তার পরেই সূচি ঘোষিত হবে। আগামী দুই বা তিন দিনের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি ঘোষণা হওয়ার কথা।

পাকিস্তানের আপত্তির পরেও অবশ্য ভারতের ম্যাচ আয়োজনে এগিয়ে রয়েছে আমিরশাহি। তার প্রধান কারণ, ভারত সে দেশে খেলতে চাইছে। পাশাপাশি আমিরশাহি দ্রুত কোনও প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে পারে। শ্রীলঙ্কায় তা করতে গেলে সময় লাগবে। জানা গিয়েছে, আমিরশাহি ক্রিকেট বোর্ড ভারতের ম্যাচ আয়োজন করতে তৈরি। আইসিসি ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষা করছে তারা।

এ দিকে ভারতের খেলা পাকিস্তানে না হলে আর্থিক ক্ষতি হবে তাদের। সেই কারণে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড প্রস্তাব দিয়েছিল যে পাকিস্তানের আর্থিক ক্ষতি মেটাতে প্রস্তুত তারা। কিন্তু ভারতের আর্থিক ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব নাকি ফিরিয়ে দিয়েছেন মহসিন নকভিরা। তাঁরা ভারতের ‘দান’ নিতে চান না। দেশবাসীর কাছে নিজেদের ভাবমূর্তি ধরে রাখার জন্য এই সিদ্ধান্ত তারা নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement
আরও পড়ুন