ICC World Cup 2023

ক্রিকেট বিশ্বকাপে ইজ়রায়েল-হামাস যুদ্ধের ছায়া, শাস্তির মুখে পড়তে পারেন বাবরের সতীর্থ

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজ়া ভূখন্ডের বাসিন্দাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন পাকিস্তানের এক ক্রিকেটার। যদিও আইসিসির কোনও প্রতিযোগিতায় রাজনৈতিক বার্তা দেওয়া যায় না।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:১৫
picture of Babar Azam

সতীর্থদের সঙ্গে বাবর আজ়ম। ছবি: আইসিসি।

ক্রিকেট বিশ্বকাপেও ইজ়রায়েল-হামাস যুদ্ধের ছায়া। পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মহম্মদ রিজ়ওয়ান শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো শতরান উৎসর্গ করেছেন গাজ়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষকে। সমাজমাধ্যমে গাজ়ার বাসিন্দাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন রিজ়ওয়ান।

Advertisement

ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র হামাস গোষ্ঠীর সংঘাতে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে বিতর্কিত গাজ়া ভূখণ্ডের জনজীবন। গাজ়া হামাস গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ইজ়রায়েলের কাছে এই ভূখণ্ডের গুরুত্ব অপরিসীম। গত ৭ অক্টোবর শনিবার ভোরে হামাস ইজ়রায়েল আক্রমণ করে। পাল্টা প্রত্যাঘাত করে ইজ়রায়েলও। সেই থেকে যুদ্ধ চলছে। এই পরিস্থিতিতে গাজ়ার মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন রিজ়ওয়ান। মঙ্গলবার ম্যাচ জেতানো অপরাজিত শতরান করার পর তিনি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘এই শতরান আমাদের গাজ়ার ভাই এবং বোনদের জন্য। দলে জয়ে অবদান রাখতে পেরে ভাল লাগছে। গোটা দলের কৃতিত্ব রয়েছে। বিশেষ করে আবদুল্লা শফিক এবং হাসান আলির কথা বলব। ওরা আমাদের কাজ সহজ করে দিয়েছিল। হায়দরাবাদের মানুষকেও ধন্যবাদ জানাব। আমরা এখানে দুর্দান্ত আতিথেয়তা এবং সমর্থন পেয়েছি।’’

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে কঠিন লক্ষ্য তাড়া করে দলকে জেতাতে পেরে সন্তুষ্ট রিজ়ওয়ান। এ নিয়ে বলেছেন, ‘‘দেশের জন্য পারফর্ম করতে পারলে সব সময়-ই গর্ব হয়। এই অনুভূতি নিয়ে বলতে পারব না। তবে এমন জয়ের পর দলের সকলের আত্মবিশ্বাস অনেকটা বেড়ে যাবে।’’ মঙ্গলবার ব্যাট করা সময় পায়ে টান ধরে ছিল তাঁর। মাঠে যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখা যায় তাঁকে। পেশিতে টান ধরা নিয়ে ম্যাচের রিজ়ওয়ান মজা করে বলেছেন, ‘‘পেশিতে টান ধরেছিল। এখন কোনও সমস্যা নেই। আমার মাঝে মাঝে এ রকম হয়। যন্ত্রণা উপেক্ষা করেই খেলি। কখনও টান ধরে, আবার কখনও অভিনয়ও করি।’’

রিজ়ওয়ান মজা করলেও কার্যত এক পায়ে খেলে ম্যাচ জিতিয়ে মঙ্গলবার মাঠ ছাড়েন তিনি। তাঁর অনবদ্য লড়াইয়ের প্রশংসা করেছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞেরা। তবু সমস্যায় পড়তে পারেন তিনি। আইসিসির কোনও প্রতিযোগিতায় রাজনৈতিক বার্তা দেওয়া যায় না। যে কারণে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকেও খুলে ফেলতে হয়েছিল ক্যামোফ্লেজ দস্তানা। গাজ়ার বাসিন্দাদের শতরান উৎসর্গ করাকে রাজনৈতিক বার্তা হিসাবে দেখতে পারে আইসিসি।

আরও পড়ুন
Advertisement