ইনজামাম উল হক। — ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপে মঙ্গলবারই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মরণবাঁচন ম্যাচ খেলতে নামছে পাকিস্তান। তার কয়েক ঘণ্টা আগে মুখ্য নির্বাচকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ইনজামাম উল হক। সোমবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমন খবরই পাওয়া গিয়েছে। আবার অন্য একটি অংশ জানিয়েছে, স্বার্থের সঙ্ঘাতের কারণেই ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছেন ইনজামাম। তিনি এমন একটি কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, যেটির মালিক ক্রিকেটারদের এক এজেন্ট। ফলে ক্রিকেটারদের নির্বাচনে সেই ব্যক্তির হাত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
রবিবারই ইনজামামের কীর্তি প্রকাশ্যে এসেছিল। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ‘ইয়াজ়ো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানির অংশীদার ইনজামাম। সেই কোম্পানির মালিক তালহা রেহমানি। এই রেহমানি বাবর আজম, মহম্মদ রিজ়ওয়ান, শাহিন আফ্রিদি-সহ পাকিস্তানের বেশ কিছু ক্রিকেটারের এজেন্ট। প্রশ্ন উঠেছিল, ইনজামামের সূত্রে পাকিস্তানের দল নির্বাচনে হাত থাকতে পারে রেহমানির। বিশেষত, গত কয়েক দিনে পাক বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের বার্ষিক চুক্তি ঘিরে বিতর্ক যেখানে তুঙ্গে, সেখানে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায়।
এক টিভি চ্যানেলে পাক বোর্ডের চেয়ারম্যান জ়াকা আশরফ জানান, কোম্পানিটির সঙ্গে ইনজামামের যোগ নিয়ে তদন্ত করা হবে। তিনি আশ্বাস দেন, ইনজামামকে ফোন করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জানা গিয়েছে, পাক বোর্ডের দফতের সোমবার ডাকা হয় প্রাক্তন অধিনায়ককে। সেখানে জ়াকার সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়। তার পরেই মুখ্য নির্বাচকের পদ থেকে সরে দাঁড়ান ইনজামাম।
পাক বোর্ডের তরফে জানা গিয়েছে, বিশ্বকাপের দল নির্বাচনে রেহমানির কোনও হাত রয়েছে কি না, তা জানতে পাঁচ সদস্যের একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আগামী দিনে বিষয়টি তদন্ত করে দেখে বোর্ডকে জানাবে। ইনজামাম বলেছেন, “বোর্ডের তরফে আমাকে ফোন করে এই কমিটির কথা জানানো হয়েছে। আমি কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি। আমিই বোর্ডকে বলেছিলাম, পদত্যাগ করাই সবচেয়ে ভাল। সব ঠিক হলে তার পরে আবার বোর্ডের সঙ্গে কথা বলব।”
তিনি আরও বলেছেন, “পাক বোর্ড আমার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে চাইলে করতেই পারে। লোকে কোনও প্রমাণ ছাড়াই আমার বিরুদ্ধে কথা বলছে। প্রমাণ থাকলে প্রকাশ্যে আনুন। বোর্ডকেও সেটাই বলেছি। আমার সঙ্গে খেলোয়াড়দের এজেন্টের কোম্পানির কোনও যোগাযোগ নেই। এই ধরনের অভিযোগে ব্যথা লাগে।”