আমদাবাদে নীল সমুদ্র। ছবি: পিটিআই।
পাকিস্তান থেকে সমর্থকেরা ভিসা পেলেও এখনও ভারতে আসতে পারেননি। ফলে শনিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে পড়শি দেশের সমর্থকেরা ছিলেনই না। এই সূত্র ধরেই ভারতীয় বোর্ড এবং আইসিসি-কে বিঁধলেন পাকিস্তানের টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থার। তাঁর মতে, এই ম্যাচে যে পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল তাতে মনে হয়েছে বিশ্বকাপ নয়, কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ়ের ম্যাচ হচ্ছে। সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের কোচ গ্র্যান্ট ব্র্যাডবার্নও।
এক লাখ ৩২ হাজার স্টেডিয়ামের প্রতিটি কোণাতেই ছিলেন ভারতীয় সমর্থকেরা। এমনকি স্টেডিয়াম জুড়ে বার বার ভারতের নামে জয়ধ্বনি উঠেছে। স্টেডিয়ামের ঘোষকেরাও ভারতের নাম ধরে চিৎকার করেছেন। কিন্তু বিশ্ব পর্যায়েও প্রতিযোগিতা হলেও পাকিস্তানের সমর্থনে একটি কথা বলা হয়নি বলে দাবি সে দেশের।
আর্থার বলেছেন, “আমি পাকিস্তানের নামে কিছু শুনেছি এটা বললে মিথ্যা বলা হবে। দেখে মনেই হয়নি আইসিসি-র প্রতিযোগিতা হচ্ছে। মনে হচ্ছিল দ্বিপাক্ষিক সিরিজ় হচ্ছে। বিসিসিআই বোধহয় এই প্রতিযোগিতার আয়োজক। কখনও মাইক্রোফোনে ‘দিল দিল পাকিস্তান’ শুনিনি।”
দর্শক সমর্থনকে অজুহাত হিসাবে খাড়া করতে না চাইলেন আর্থারের মতে, সেটা ম্যাচে প্রভাব ফেলেই। তিনি বলেছেন, “দর্শক সমর্থনের প্রভাব রয়েছেই। অজুহাত দিচ্ছি না। কী ভাবে ভারতীয় বোলারদের মোকাবিলা করব সেটাই আমাদের মাথায় ছিল।”
একই কথা বলেছেন পাক কোচ ব্র্যাডবার্ন। তাঁর কথায়, “এ রকমই প্রত্যাশা ছিল আমাদের। আমাদের সমর্থকদের এখানে দেখতে না পেয়ে খুব খারাপ লাগছে। ওরা সবাই আসতে চেয়েছিল। ভারতীয় সমর্থকেরাও পাক সমর্থকদের পছন্দ করে।”
পাকিস্তানের সমর্থনে কোনও চিৎকার না শুনেও অবাক তিনি। বলেছেন, “খুব অস্বাভাবিক ব্যাপার। আমাদের সমর্থনে কোনও গান বা কিছু ছিল না। বিশ্বাসই হচ্ছিল না এটা বিশ্বকাপের ম্যাচ। পাকিস্তানের সমর্থকেরা সঠিক বিচার পেলেন না।”