বাবর আজ়ম। —ফাইল চিত্র
বিশ্বকাপের মাঝেই প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ইনজামাম উল হক। পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়কের বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ উঠেছে। ইনজামাম পদত্যাগ করার পরের দিনই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পাকিস্তান দলে নেওয়া হয়নি ইমাম উল হককে। সম্পর্কে তিনি ইনজামামের ভাইপো। তা হলে কি বাবর আজ়মদের বিরুদ্ধে গিয়ে জোর করে ভাইপোকে খেলাতেন কাকা? প্রশ্ন উঠছে। বিশ্বকাপের মাঝেই শুরু হয়েছে তদন্ত।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান জ়াকা আশরফ একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘‘দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটির হস্তক্ষেপের যে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে কমিটি। তার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ‘ইয়াজ়ো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানির অংশীদার ইনজামাম। সেই কোম্পানির মালিক তালহা রেহমানি। এই রেহমানি বাবর আজম, মহম্মদ রিজ়ওয়ান, শাহিন আফ্রিদি-সহ পাকিস্তানের বেশ কিছু ক্রিকেটারের এজেন্ট। প্রশ্ন উঠেছিল, ইনজামামের সূত্রে পাকিস্তানের দল নির্বাচনে হাত থাকতে পারে রেহমানির। বিশেষত, গত কয়েক দিনে পাক বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের বার্ষিক চুক্তি ঘিরে বিতর্ক যেখানে তুঙ্গে, সেখানে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায়। তার পরেই পদত্যাগ করেন ইনজামাম।
পদত্যাগ করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অবশ্য ফেরার কথাও জানিয়েছেন ইনজামাম। তবে তার জন্য একটি শর্ত রেখেছেন তিনি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে ইনজামাম জানিয়েছেন, ‘‘সংবাদমাধ্যমে আমার নামে যে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ উঠেছে, তার যাতে নিরপেক্ষ তদন্ত হতে পারে, সেই কারণে আমি সরে যাচ্ছি। তদন্ত কমিটি যদি আমাকে নির্দোষ মনে করে, তাহলে আবার পাকিস্তান ক্রিকেটের মুখ্য নির্বাচকের পদে ফিরব।’’