অগ্নিকাণ্ডের পর ঝাঁসি হাসপাতালের শিশু বিভাগ ঘুরে দেখছে পুলিশ। ছবি: পিটিআই।
ঝাঁসির মহারানি লক্ষ্মীবাঈ মেডিক্যাল কলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছ থেকে সবিস্তার রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি পাঠিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে সেই রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। হাসপাতালের শিশু বিভাগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বেশ কয়েকটি গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যে একটি হল অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা। এ ছাড়াও ফায়ার অ্যালার্ম-সহ আরও বেশ কিছু অভিযোগ প্রকাশ্যে আসছে। যদিও সব অভিযোগকেই খারিজ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি, হাসপাতালের পরিকাঠামোয় কোনও গলদ ছিল না।
কিন্তু গলদ তা হলে কোথায় ছিল? কার গাফিলতিতে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটল? এখন এই উত্তরই খুঁজছে ঝাঁসি। চার পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। এ বার ঝাঁসির হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন নোটিস পাঠাল রাজ্য সরকারকে। মানবাধিকার কমিশন মনে করছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোথাও ‘বড় গাফিলতি’ ছিল। আর সেই গাফিলতি চিহ্নিত করতেই রাজ্য সরকারের কাছে এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছে তারা।
শনিবার এক বিবৃতি জারি করে মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত ‘হৃদয়বিদারক’। এর নেপথ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোথাও না কোথাও গাফিলতি ছিল বলেই ওই বিবৃতিতে ইঙ্গিত দিয়েছে কমিশন। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, একটি সরকারি হাসপাতালের পর্যবেক্ষণে ছিল সদ্যোজাতেরা। তাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক তদন্তে শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বলে দাবি করা হয়েছে। তবে সেই তত্ত্বে ‘সন্তুষ্ট’ নয় কমিশন। তাই সবিস্তার এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট তলব করেছে তারা। শুধু তা-ই নয়, যে ১০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে, যে শিশুরা আহত, তাদের পরিবার যাতে সঠিক বিচার পান, তার ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়েছে কমিশনের বিবৃতিতে। আগামী দিনে যাতে এ রকম ঘটনা এড়ানো যায় সেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ হাসপাতালের নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (এনআইসিইউ)-এ আগুন লাগে। সেই ঘটনায় ১০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ৪৫ শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সঙ্কটজনক ১৬ শিশু।