India vs Pakistan cricket

ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে হার ভারতের, ১২৮ রানে জিতল পাকিস্তান

রবিবার ভারতীয় দল ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং, তিনটি বিভাগেই ব্যর্থ। পর পর দু’বার ইমার্জিং এশিয়া কাপ জিতে নিল পাকিস্তান। এর আগে ২০১৯ সালে জিতেছিল তারা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৩ ২১:১৮
India A

সাই সুদর্শন এবং অভিষেক শর্মা। ছবি: টুইটার।

ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে ব্যর্থ যশ ঢুলের ভারত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১২৮ রানে হারল ভারত এ। এই প্রতিযোগিতায় প্রতিটি দেশের ‘এ’ দল খেলছিল। ফাইনালে ভারতের এই হার মনে করিয়ে দিল ছ’বছর আগের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে। রবিবার ভারতীয় দল ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং, তিনটি বিভাগেই ব্যর্থ। পর পর দু’বার ইমার্জিং এশিয়া কাপ জিতে নিল পাকিস্তান। এর আগে ২০১৯ সালে জিতেছিল তারা।

২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গ্রুপ পর্বে জিতেছিল ভারত। কিন্তু ফাইনালে ১৮০ রানে হারতে হয়েছিল। তেমনই ঘটল এ বারের ইমার্জিং এশিয়া কাপে। গ্রুপ পর্বে দাপটের সঙ্গে জিতেছিল যশ ঢুলের ভারত। কিন্তু ফাইনালে হারতে হল ১৪০ রানে। বোলিং বা ব্যাটিংয়ের থেকেও এই হারের জন্য দায়ী ভারতের ফিল্ডিং। একাধিক ক্যাচ পড়ল। তরুণ অধিনায়ক যশ ঢুল যে ভাবে ফিল্ডিং সাজিয়েছিলেন, সেটাও হারের কারণ হয়ে রইল। ফাঁকা জায়গা পেয়ে পাকিস্তানের ব্যাটারেরা রান করলেন মনের সুখে।

Advertisement

রবিবার ফাইনালের শুরু থেকেই পাকিস্তানের ব্যাটারেরা মারমুখী মেজাজে ছিলেন। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে যে পাকিস্তানকে ২০৫ রানের মধ্যে অলআউট করে দিয়েছিলেন ভারতীয় বোলারেরা, সেই ব্যাটারেরাই এই ম্যাচে বদলার মেজাজে ছিলেন। দুই ওপেনার সৈয়ম আয়ুব এবং সাহিবজ়াদা ফারহান মিলে ১২১ রান তোলেন। মাত্র ১৭ ওভারে এই রান তুলে নেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার। সেই জুটি ভাঙেন মানব সুতার। ভারতের বাঁহাতি অলরাউন্ডারের বল নিচু হয়ে আসে। সেই বলে কাট মারতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন সৈয়ম (৫৯)। সাহিবজ়াদাও এর পর বেশি ক্ষণ সময় ক্রিজে টিকতে পারেননি। ৬২ বলে ৬৫ রান করে রান আউট হয়ে যান তিনি।

ভারতকে এর পর ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিলেন রিয়ান পরাগ। পর পর দু’বলে তিনি তুলে নেন ওমাইর ইউসুফ এবং কাশিম আক্রমকে। ৩৫ রান করা ইউসুফের ক্যাচ নিজেই নেন রিয়ান। সেই ক্যাচটি ঠিক ভাবে নেওয়া হয়েছে কি না সেই বিষয়ে নিজেই নিশ্চিত ছিলেন তিনি। তৃতীয় আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দিলে পাকিস্তানের ব্যাটারের মতো অবাক হয়ে যায় ভারতও। পরের বলেই মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ তুলে দেন আক্রম। অধিনায়ক মহম্মদ হ্যারিসও বেশি ক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। তিনি মাত্র দু’রান করেন। ১৮৭ রানে পাকিস্তানের পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করছিল ভারত।

পাকিস্তান যখন কিছুটা বিপদে পড়ে গিয়েছে, সেই সময় দলের হাল ধরেন তৈয়ব এবং মুবাসির খান। তাঁরা ১৮৬ রানের জুটি গড়েন। ঝোড়ো ইনিংস খেলে ভারতীয় বোলারদের চাপে ফেলে দেন তাঁরা। তৈয়ব ৭১ বলে ১০৮ রান করেন। মুবাসির করেন ৩৫ রান। তাঁদের দু’জনকেই আউট করেন রাজবর্ধন হাঙ্গারগেকর। ৬ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন ভারতীয় পেসার। একটি করে উইকেট নেন হর্ষিত রানা, সুতার এবং নিশান্ত সিন্ধু। পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হয় ৩৫২ রানে।

এই বিরাট রান তুলতে হলে শুরু থেকেই দ্রুত রান করতে হত সাই সুদর্শনদের। সেটাই করছিলেন তিনি এবং অভিষেক শর্মা। কিন্তু খুব বেশি ক্ষণ সেটা পারেননি। ৬৪ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় ভারত এ। ২৯ রানে আউট হন সুদর্শন। তিন নম্বরে নেমে নিকিন জোস করেন ১১ রান। ওপেনার অভিষেক শর্মা কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ৬১ রানের মাথায় তাঁর উইকেট তুলে নেন সুফিয়ান মুকিম। অধিনায়ক যশ ঢুলও ৩৯ রানের বেশি করতে পারেননি। বাকি ব্যাটারেরা এসেছেন এবং আউট হয়েছেন। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারায় ভারত এ। পাকিস্তান এ জিতে নেয় ৬০ বল বাকি থাকতেই।

আরও পড়ুন
Advertisement