australia

Pat Cummins: মাথায় উঠেছে টি২০ বিশ্বকাপ! কী করে ভারতকে টেস্টে হারাবে, ভেবেই ঘুম উড়েছে অস্ট্রেলিয়ার

আগামী বছর টেস্ট সিরিজ খেলতে ভারতে আসবে অস্ট্রেলিয়া। তার আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবু ভারতকে টেস্টে কী করে হারাবে, সেই ছকই কষছেন কামিন্সরা।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২২ ১৫:১৮
ভারত সফর নিয়ে চিন্তায় কামিন্স।

ভারত সফর নিয়ে চিন্তায় কামিন্স। ফাইল ছবি।

অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কিন্তু সেটা মাথায় উঠেছে অস্ট্রেলিয়ার। তাদের যাবতীয় চিন্তা আগামী বছরের ভারত সফর। টেস্ট সিরিজে কী করে ভারতকে হারানো যাবে, তাই নিয়ে ভেবে অস্থির অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স এবং সহকারী কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টরির মতে, ভারতই এখন অস্ট্রেলিয়ার কঠিনতম প্রতিপক্ষ।

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্টে ব্যাটারদের সাফল্য আত্মবিশ্বাসী করছে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক কামিন্সকে। স্পিন সহায়ক উইকেটে খেলার অভিজ্ঞতা আগামী বছর ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে কাজে লাগাতে চান কামিন্স। দলের সহকারী ড্যানিয়েল ভেট্টরির মতে, ভারত সফর আরও কঠিন হবে।

Advertisement

শ্রীলঙ্কার স্পিনারদের বিরুদ্ধে ভাল ব্যাটিং করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা। প্রথম টেস্টে ৭০ ওভারে ৩২১ রান তুলেছেন অজি ব্যাটাররা। সেই সাফল্যই আত্মবিশ্বাসী করছে কামিন্সকে। তিনি বলেছেন, ‘‘ভারতের বিরুদ্ধে আগামী বছর আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ রয়েছে। এই সিরিজের অভিজ্ঞতা তখন আমাদের কাজে লাগবে। বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট দল হতে চাইলে বিদেশের মাটিতে ধারাবাহিক ভাবে জয় প্রয়োজন।’’

২০২৩ সালের মার্চে চার টেস্টের সিরিজ খেলতে ভারতে আসবে অস্ট্রেলিয়া। কামিন্স বলেছেন, ‘‘আমরা নিজেদের প্রস্তুতিতে দু’টি বিষয়ে খুব গুরুত্ব দিয়েছিলাম। প্রথম, সক্রিয় থাকা। এবং দ্বিতীয়, সাহসী থাকা। খেয়াল করলে দেখা যাবে, আমাদের সব ব্যাটারের মধ্যেই একটা পদ্ধতি আছে। প্রত্যেকের ব্যাটিংয়ে কিছু পার্থক্য রয়েছে। তবু সকলেই ব্যাট হাতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে এবং বিপক্ষের বোলারদের উপর চাপ তৈরি করতে পেরেছে।’’

উপমহাদেশের উইকেটে টেস্ট ক্রিকেটে সাফল্য কামিন্সকে তৃপ্তি দিচ্ছে। অজি অধিনায়ক মনে করেন পাঁচ দিনের ক্রিকেটে সফল হওয়ার জন্য একটা পদ্ধতির মধ্যে থাকা দরকার। কামিন্স বলেছেন, ‘‘আমরা এক বার ব্যাট করার পর শ্রীলঙ্কাকে ২১২ রানে অলআউট করে দিয়েছি। উসমান খোয়াজা ওপেন করে ৭১ রান করল। উইকেটে থাকতে পারলে সাফল্য আসেই।’’ তরুণ অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনের ৭৭ রানের ইনিংসেরও প্রশংসা করেছে কামিন্স। বলেছেন, ‘‘গ্রিন দ্রুত শিখতে পারে। কিন্তু এখানকার উইকেটে ব্যাটিং করার পদ্ধতি ও এত দ্রুত শিখেছে, যে আমরাও অবাক হয়েছি। প্রথম বল থেকেই ওকে স্বচ্ছন্দে লেগেছে। এ জন্য ওকে কৃতিত্ব দিতে হবে। কোচ ওর সঙ্গে সপ্তাহ দুয়েক কাজ করেছেন। তাও বলব খুব তাড়াতাড়ি শিখেছে গ্রিন।’’ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যারির ৪৭ বলে ৪৫ রানের আগ্রাসী ইনিংসেও খুশি কামিন্স।

অধিনায়কের মতোই শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে খুশি দলের সহকারী কোচ ভেট্টরি। পাকিস্তান সফরের সাফল্যের কথাও বলেছেন তিনি। আগামী বছরের বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিকেই অস্ট্রেলিয়ার জন্য কঠিনতম চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন তিনি। ভেট্টরি বলেছেন, ‘‘উপমহাদেশে আমাদের পারফরম্যান্স ভালই হচ্ছে। পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা সফরের অভিজ্ঞতা আগামী বছর ভারত সফরে সহায়ক হবে। যদিও ভারতের বিভিন্ন কেন্দ্রের উইকেটের চরিত্র আলাদা। তাই প্রতিটি ম্যাচেই নতুন করে মানিয়ে নেওয়ার বিষয় থাকবে।’’

ভেট্টরি আরও বলেছেন, ‘‘পাকিস্তান বা শ্রীলঙ্কার উইকেটগুলোর চরিত্র মোটের উপর একই রকম। কিন্তু ভারতের মোহালির উইকেট এবং ওয়াংখেড়ের উইকেটের মধ্যে কোনও মিল নেই।’’ ভারত সফর অজিদের কঠিন পরীক্ষার বলেই মনে করেন তিনি। তা হলে ভারতের সাফল্য পাওয়ার চাবিকাঠি কী? নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘প্রত্যেক ব্যাটারের জন্য আলাদা পরিকল্পনা প্রয়োজন। ওরা যে ভাবে খেলতে স্বচ্ছন্দ বোধ করবে, সে ভাবেই খেলতে দেওয়া উচিত। সাহস নিয়ে ব্যাট করতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে সব সময়।

আরও পড়ুন
Advertisement