মহম্মদ সিরাজ। —ফাইল চিত্র।
হায়দরাবাদের অটোচালকের স্বপ্ন দেখতেন ছেলে এক দিন দেশের নীল জার্সি গায়ে খেলবে। ছেলেকে নতুন জুতো কিনে দেওয়ার জন্য সারা রাত অটো চালিয়ে টাকা জোগাড় করেছিলেন মহম্মদ ঘাউস। ছেলের প্রথম বিদেশ সফরের সময়ই তাঁর মৃত্যু হয়। জাতীয় দলের ছেলের সুযোগ পাওয়ার খবর শুনলেও খেলতে দেখে যেতে পারেননি। বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল জেতার পর বাবার কথা মনে পড়ছে মহম্মদ সিরাজের।
বুধবার ম্যাচের পর সমাজমাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করেছেন সিরাজ। দেখা যাচ্ছে একটি মোবাইলের স্ক্রিনে লেখা রয়েছে ‘ড্যাড কলিং’। সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘তোমার অভাব অনুভব করছি’। দিয়েছেন কান্নার ইমোজিও। সিরাজের পোস্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ভারত বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পর প্রয়াত বাবার কথা মনে পড়ছে সিরাজের। ছেলেকে দেশের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য হিসাবে দেখলে নিশ্চিত ভাবেই গর্বিত হতেন ঘাউস। ছেলেকে তো তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ২২ গজে সফল হিসাবেই দেখতে চেয়েছিলেন।
গত সেপ্টেম্বরের এশিয়া কাপে বেশ ভাল ফর্মে ছিলেন সিরাজ। বিশ্বকাপে সেই ফর্ম ধরে রাখতে পারেননি। প্রায় প্রতি ম্যাচেই প্রচুর রান দিয়ে ফেলছেন। ছন্দ পেয়ে গেলে সিরাজ অবশ্য একাই প্রতিপক্ষের ইনিংসে ধস নামাতে পারেন। সেই আশায় তাঁকে খেলিয়ে চলেছেন রাহুল দ্রাবিড়, রোহিত শর্মারা। সেমিফাইনালের পর আবেগপ্রবণ হয়ে পড়া সিরাজও নিশ্চয়ই ফাইনালে বল হাতে জ্বলে উঠতে চাইবেন।