(বাঁ দিকে) আকাশ দীপ এবং যশপ্রীত বুমরা (ডান দিকে)। ছবি: এক্স (টুইটার)।
প্যাট কামিন্সকে গালির উপর দিয়ে আকাশ দীপ চারটা মারতেই ভারতের ফলো-অনের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। ব্রিসবেনের সাজঘরে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন বিরাট কোহলি, গৌতম গম্ভীরেরা। মঙ্গলবার অবিচ্ছিন্ন দশম উইকেটে যশপ্রীত বুমরা এবং আকাশের ৩৯ রানের জুটি ভারতীয় দলকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়েছে। দিনের খেলার শেষে লোকেশ রাহুলও কৃতিত্ব দিলেন দুই জোরে বোলারকে।
রোহিত শর্মাদের ফলো-অন করাতে পারলে ব্রিসবেন টেস্ট জিততেও পারতেন প্যাট কামিন্সেরা। বৃষ্টি পরিস্থিতি কঠিন করলেও অস্ট্রেলিয়ার জয়ের আশায় জল ঢেলে দিয়েছে আসলে বুমরা-আকাশ জুটিই। কারণ, ভারত প্রথম ইনিংসে যত রানেই পিছিয়ে থাকুক, বুধবার অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট করতে নামতেই হবে। বুমরা-আকাশের ব্যাট হাতে লড়াই ভারতের হারের সম্ভাবনা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। দুই সতীর্থকে কৃতিত্ব দিতে ভোলেননি রাহুলও।
চতুর্থ দিনের খেলার শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাহুল বললেন, ‘‘লোয়ার অর্ডার ব্যাটারেরা রান করলে সব সময়ই ভাল লাগে। দলের বৈঠকেও আমরা এটা নিয়ে কথা বলেছিলাম। আমাদের বোলারেরা ব্যাটিং নিয়েও অনেক পরিশ্রম করেছে। ওদের জুটি তারই ফল। বুমরা-আকাশের ছোট জুটিটার মূল্য অনেক। ফলো-অনের সম্ভাবনা না-থাকায় পরিস্থিতি এখন অন্য রকম।’’ রাহুল বলেছেন, ‘‘বুধবারও ব্রিসবেনে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তার মধ্যেই আমাদের লড়াইয়ের উপায় খুঁজে নিতে হবে। নিঃসন্দেহে বুমরা আর আকাশের লড়াই আমাদের স্বস্তির জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। আমরা যে ভাবে দিনটা শেষ করতে পেরেছি, সেটা ভালই।’’
ভারতের প্রথম সারির ব্যাটারদের মধ্যে ব্রিসবেনের ২২ গজে রাহুল (৮৪) ছাড়া কেউই রান পাননি। দলের ব্যাটিং আরও ভাল হওয়া উচিত ছিল বলেও মেনে নিয়েছেন রাহুল। তবু তাঁর মুখে শুধুই দুই বোলারের প্রশংসা। রাহুল বলেছেন, ‘‘দিনের শেষ আধ ঘণ্টা দারুণ লড়াই হল। ওরা দু’জন শুধু রান করেনি বা পিচে সময় কাটায়নি। বাউন্সারগুলোও ভাল ভাবে সামলেছে। বলের পিছনে ব্যাট নিয়ে গিয়ে খেলার চেষ্টা করেছে। ভাল রক্ষণ করেছে। কয়েকটা ভাল শটও মেরেছে। সত্যিই ভাল ব্যাট করল ওরা। বুমরা আর আকাশের ব্যাটিং শুধু ওদের নয়, গোটা দলকেই আত্মবিশ্বাসী করবে।’’
ভারতীয় শিবিরও বুমরা এবং আকাশময়। ব্রিসবেন এবং বাংলার আকাশ স্বস্তি এনে দিয়েছে গম্ভীরদের। সোমবার এক অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক ব্যাটিং দক্ষতা নিয়ে খোঁচা দিয়েছিলেন বুমরাকে। তাঁকে এক বছর আগে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলা ইনিংসের কথা মনে করিয়ে দেন ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, কথায়-কাজে পার্থক্য নেই। অস্ট্রেলিয়ায় বল এবং ব্যাট হাতে রোহিত-কোহলিদের মান বাঁচাচ্ছেন বোলারেরাই।