অর্ধশতরানের পর বেঙ্কটেশ আয়ার। ছবি: পিটিআই।
২৯ বলে ৬০ রান। ৭টি চার এবং ৩টি ছক্কা। স্ট্রাইক রেট ২০৬.৮৯। কলকাতা নাইট রাইডার্স কেন তাঁর জন্য ২৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা খরচ করেছে, তা বৃহস্পতিবার ইডেনে বুঝিয়ে দিলেন বেঙ্কটেশ আয়ার। তাঁর আগ্রাসী ইনিংস সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ভাল জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে কেকেআরের ইনিংস। স্বভাবতই খুশি তিনি। কলকাতার ইনিংস শেষ হওয়ার পর বেঙ্কটেশের কথাতেও ধরা পড়েছে খুশির আমেজ।
এ বারের আইপিএলে ব্যাট হাতে কিছু করতে পারছিলেন না। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ৬ এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৩ রান করে আউট হয়ে যান। সমালোচনাও শুরু হয়েছিল। ইডেনে সেই সমালোচকদেরও জবাব দিল বেঙ্কটেশের ব্যাট। আগ্রাসী ইনিংস খেলার পর বেঙ্কটেশের মুখে শোনা গিয়েছে ইডেনের পিচের কথা। বলেছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) একটি নিয়মের কথাও।
৬০ রানের ইনিংস খেলে উঠে মধ্যপ্রদেশের অলরাউন্ডার বললেন, ‘‘পিচটা ঠিক ইডেনের মতো নয়। বল একটু থমকে ব্যাটে আসছে। তবে এই ধরনের পিচে আগেও খেলেছি। তাই খুব অসুবিধা হয়নি।’’ বেঙ্কটেশের মতে কেকেআর লড়াই করার মতো রান তুলতে পেরেছে ইডেনের ২২ গজে। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা ভাল রান তুলেছি। ২০০ রান লড়াই করার মতো। প্রথম দুটো ম্যাচে রান পাইনি। তাই এ দিন মাঠে নামার পর পিচটা একটু বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। তবে অজিঙ্ক রাহানে এবং অঙ্গকৃশ রধুবংশীকে কৃতিত্ব দেব। ওরা শুরুর চাপটা সামলে দিয়েছিল দুর্দান্ত ভাবে।’’
বেঙ্কটেশের মুখে শোনা গিয়েছে হায়দরাবাদের বোলারদের প্রশংসা। তিনি বলেছেন, ‘‘ওরা বেশ ভাল বল করেছে। পিচও একটু মন্থর। বলতে পারেন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছি। থিতু হওয়ার পর বড় শট খেলার চেষ্টা করেছি।’’ এ প্রসঙ্গে ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে বিসিসিআইয়ের নতুন নীতির প্রশংসা করেছেন কেকেআর ব্যাটার। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ভারতীয় বোর্ড এখন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে। এটায় আমাদের সকলের উপকার হয়েছে। নতুন নতুন বোলারের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচগুলি সব সময় চ্যালেঞ্জিং হয়। আমি খেলার সুযোগ কখনও হাতছাড়া করি না। ক্লাব ক্রিকেট খেলার সুযোগও নষ্ট করতে চাই না কখনও।’’ প্রতিযোগিতার তৃতীয় ইনিংসে দলের আস্থার মর্যাদা দিতে পেরে খুশি তিনি।