Crime in Delhi

স্ত্রীকে খুন করে হাজতে, প্যারোলে মুক্তি পেয়েই পলাতক! ২০ বছর পর গ্রেফতার অভিযুক্ত

মধ্যপ্রদেশের সিধির বাসিন্দা অনিলকুমার তিওয়ারি। ১৯৮৯ সালে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহ পুড়িয়ে দেয়।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:২৮
Ex-armyman arrested 20 years after jumping parole

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রাক্তন সেনাকর্মী। আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সাজা শুনিয়েছে। জেলে থাকাকালীনই তিনি প্যারোলে মুক্ত হন। জেল থেকে বেরিয়েই পালিয়ে যান! ২০ বছরের বেশি সময় পর সেই অপরাধীকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

Advertisement

দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, মধ্যপ্রদেশের সিধির বাসিন্দা অনিলকুমার তিওয়ারি। ১৯৮৯ সালে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তার পর দেহ পুড়িয়েও দেয়। পরে বিষয়টি আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টাও করে সে। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। গ্রেফতার করা হয় তাকে। আদালত দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।

তার পর থেকে জেলেই ছিল অনিল। ২০০৫ সালে দিল্লি হাই কোর্টে প্যারোলের জন্য আবেদন করে সে। তা মঞ্জুরও হয়। হাই কোর্টের নির্দেশে দুই সপ্তাহের জন্য জেল থেকে বার হয় ওই প্রাক্তন সেনাকর্মী। কিন্তু প্যারোলে থাকাকালীনই পালিয়ে যায় সে। কোথায় যায়, তা নিয়ে পুলিশের কাছে কোনও তথ্য ছিল না। গ্রেফতারি এড়াতে দুই দশক ধরে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল সে। তবে অবশেষে দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকেরা তাকে গত ১২ এপ্রিল গ্রেফতার করেন।

কী ভাবে অনিল গ্রেফতারি এড়াত? পুলিশ সূত্রে দাবি, মোবাইল ফোন ব্যবহার প্রায় করতই না। লেনদেন করত নগদে। শুধু তা-ই নয়, ঘন ঘন বদলাত বাসস্থান। সেই সঙ্গে চাকরিও বদল করত। দিল্লি পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দমন) আদিত্য গৌতম বলেন, ‘‘অনিলকে খোঁজার জন্য বিশেষ একটি দল গঠন করা হয়েছিল। বিভিন্ন সূত্র থেকে আমরা জানতে পারি, সে প্রথমে উত্তরপ্রদেশে ঠাঁই নেয়, পরে সেখান থেকে মধ্যপ্রদেশের সিধিতে নিজের গ্রামের কাছে চলে যায়। সেখান থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।’’

পুলিশ সূত্রে দাবি, গ্রেফতারি এড়াতে ক্রমাগত জায়গা পরিবর্তনের কথা স্বীকার করেছে অনিল । শুধু তা-ই নয়, নতুন করে বিয়েও করে ওই ব্যক্তি। দ্বিতীয় পক্ষের সন্তানও রয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন