Rohit Sharma

বেপরোয়া রোহিত! ২১৫ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালিয়ে বাংলাদেশ ম্যাচের আগে তিন বার জরিমানা

দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোয় জরিমানা হয়েছে রোহিত শর্মার। মুম্বই থেকে পুণেতে দলের সঙ্গে যোগ দিতে যাওয়ার সময় তিন বার নির্দিষ্ট গতির থেকে বেশি গতিতে গাড়ি চালিয়েছেন ভারত অধিনায়ক।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:২১
Rohit Sharma

রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র

দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে ঋষভ পন্থের দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও টাটকা ভারতীয় সমর্থকদের মনে। সুস্থ হয়ে উঠলেও এখনও মাঠে ফিরতে পারেননি ভারতীয় ক্রিকেটার। তার মধ্যেই এ বার বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে ট্রাফিক আইন ভেঙেছেন রোহিত শর্মা। বাংলাদেশ ম্যাচের আগে দলের সঙ্গে যোগ দিতে মুম্বই থেকে পুণে যাওয়ার পথে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোয় জরিমানা হয়েছে তাঁর। তিন বার নির্দিষ্ট গতির থেকে বেশি গতিতে গাড়ি চালিয়েছেন ভারত অধিনায়ক। তাই তিন বার তাঁর চালান কাটা হয়েছে।

Advertisement

আমদাবাদে পাকিস্তান ম্যাচের পরে বেসরকারি সংস্থার একটি হেলিকপ্টারে করে সস্ত্রীক মুম্বইয়ে ফিরেছিলেন রোহিত। সেখানে পরিবারের সঙ্গে দু’দিন কাটান ভারত অধিনায়ক। তার পর পুণেতে দলের সঙ্গে যোগ দিতে যান। মুম্বই থেকে পুণে নিজেই গাড়ি চালিয়ে যান রোহিত। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ঋতিকা সজদে। মুম্বই-পুণে এক্সপ্রেসওয়ে ধরে যাওয়ার সময় ট্রাফিকের নিয়ম ভাঙেন রোহিত।

মুম্বই-পুণে এক্সপ্রেসওয়েতে নিজের ল্যাম্বরঘিনি গাড়িতে গতি তোলেন রোহিত। কখনও গতি ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার ওঠে। কখনও আবার ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার গতিবেগে গাড়ি চালান রোহিত। আর সেটা করতে গিয়েই তিন বার নিয়ম ভাঙেন রোহিত। তাঁর গাড়ির নম্বরে অনলাইনে তিন বার চালান কাটা হয়েছে। তবে কত টাকা তাঁকে জরিমানা করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।

রোহিতের দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো ভাল ভাবে দেখেনি ট্রাফিক পুলিশ। তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে। একটি বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ‘‘বিশ্বকাপের মাঝে ভারত অধিনায়কের এ ভাবে বেপরোয়া গাড়ি চালানো ঠিক নয়। দলের সঙ্গে বাসে যাওয়া উচিত তাঁর। কারণ, সেখানে পর্যাপ্ত সুরক্ষাব্যবস্থাও থাকে।’’ তারা আরও জানিয়েছে, ‘‘সবার উচিত ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলা। সেই সঙ্গে নিজের ও পরিবারের সুরক্ষার কথাও ভাবা উচিত তাদের। রোহিত যা করেছেন সেটা ঠিক করেননি।’’ এই বিষয়ে রোহিত বা ভারতীয় দলের তরফে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

রোহিতের এই খবর প্রকাশ পাওয়ার পরে সবাই তাঁর দায়িত্বজ্ঞানহীনতার সমালোচনা করেছেন। তাঁদের কথায়, গতির নেশা কখনওই ভাল নয়। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে খ্যাতনামী, যেই হোন না কেন প্রত্যেকের নিজের সুরক্ষার দিকে নজর রাখা উচিত। বিশেষ করে বিশ্বকাপের সময় ক্রিকেটারদের মাথায় অনেক রকম চিন্তা থাকে। মুহূর্তের ভুলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। ভবিষ্যতে রোহিত যাতে এই ভুল না করেন সেই পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement
আরও পড়ুন