২০২১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় সূর্যকুমারের। —ফাইল চিত্র
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সূর্যকুমার যাদবের অভিষেকের সময় তাঁর বয়স ছিল ৩১ বছর। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত রান করে তত দিনে পরিচিতি তৈরি করে ফেলেছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে যোগ হয় আইপিএলে তাঁর ঝোড়ো ইনিংসগুলি। যা তাঁকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগ করে দেওয়ার রাস্তা পাকা করে। কিন্তু এত দেরিতে অভিষেক নিয়ে সূর্যকুমার ভাবছেন না। তিনি মনে করেন এটা তাঁর খিদে বাড়িয়ে দিয়েছে।
২০২১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় সূর্যকুমারের। এর মধ্যেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আইসিসির ক্রমতালিকা অনুযায়ী এক নম্বর ব্যাটার তিনি। টি-টোয়েন্টিতে তিনটি শতরান করে ফেলেছেন সূর্যকুমার। সামনে শুধু রোহিত শর্মা। ভারত অধিনায়কের চারটি শতরান রয়েছে। রাজকোটে শনিবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৫১ বলে ১১২ রান করেন সূর্যকুমার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেরিতে সুযোগ পাওয়া প্রসঙ্গে রাহুল দ্রাবিড়কে তিনি বলেন, “দেরিতে অভিষেক হওয়া আমার খিদে বাড়িয়ে দিয়েছে।”
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে জয়ের পর দ্রাবিড় এবং সূর্যকুমারের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে বিসিসিআই। সেখানে সূর্যকুমার বলেন, “অনেক দিন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছি। মুম্বইয়ের হয়ে খেলতে আমার ভালই লাগে। সব সময় চেষ্টা করি নিজের সেরাটা দিতে। ওখানেও ব্যাট করতে ভাল লাগত। শেষ কয়েক বছরে কাজটা কঠিন হয়েছে। কিন্তু নিজেকে বার বার বলেছি যে, এটার জন্যই তো ক্রিকেট খেলতে চেয়েছি। আমি আনন্দ পাই খেলতে। ক্রিকেটের প্রতি আবেগটাই আমাকে ভাল খেলতে অনুপ্রেরণা দেয়।”
𝐃𝐞𝐜𝐨𝐝𝐢𝐧𝐠 𝐒𝐊𝐘’𝐬 𝐦𝐚𝐬𝐭𝐞𝐫𝐜𝐥𝐚𝐬𝐬 𝐓𝟐𝟎𝐈 𝐜𝐞𝐧𝐭𝐮𝐫𝐲 𝐢𝐧 𝐑𝐚𝐣𝐤𝐨𝐭
— BCCI (@BCCI) January 8, 2023
Head Coach Rahul Dravid interviews @surya_14kumar post #TeamIndia’s victory in the #INDvSL T20I series decider - By @ameyatilak
Full Interview https://t.co/nCtp5wi46L pic.twitter.com/F0EfkFPVfb
ভারতীয় দলের কোচ দ্রাবিড়। তিনি যে ভাবে ব্যাট করতেন, সেটার সঙ্গে সূর্যকুমারের খেলার কোনও মিল নেই। ভিডিয়োটিতে তাই দ্রাবিড় সূর্যের পরিচয় করানোর সময় বলেন, “এমন একজনের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছি, আমি নিশ্চিত যে ছোটবেলায় আমার ব্যাটিং দেখেনি।” সূর্যকুমার হাসতে হাসতে বলেন, “না, না, আমি দেখেছি।” দ্রাবিড়ের রক্ষণাত্মক ক্রিকেটের সঙ্গে সূর্যকুমারের উইকেটের পিছন দিকে সুইপ মারার কোনও মিল খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। সেই কারণেই দ্রাবিড় বলেন যে, তিনি নিশ্চিত সূর্য তাঁকে ব্যাট করতে দেখেনি।
সূর্যকুমারকে দ্রাবিড় জিজ্ঞেস করেন কোন ইনিংস খেলে তিনি সব থেকে বেশি আনন্দ পেয়েছেন। উত্তরে সূর্য বলেন, “যে কোনও একটা ইনিংস বেছে নেওয়া কঠিন। আমি সব কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাট করে আনন্দ পেয়েছি। ব্যাট করতে নেমে আমি নিজে উপভোগ করার চেষ্টা করি। গত এক বছর ধরে সেটাই করছি। নিজের মতো খেলতে পছন্দ করি। যখন কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়, তখন আমি দলকে জেতানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠি। সেটা যদি কাজে লেগে যায় দল এবং আমার জন্য, তা হলে ভাল লাগে।”
তাঁর সাফল্যের জন্য পরিবারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সূর্যকুমার। তিনি বলেন, “এখনও পর্যন্ত ক্রিকেট কেরিয়ারে আমি যা করেছি, তার জন্য আমার পরিবারকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। যখন আমি ক্রিকেট খেলা শুরু করি, সেই সময় থেকে তারা আমার পাশে রয়েছে। আমার বাবা একজন ইঞ্জিনিয়ার। আমার পরিবারের কেউ খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত ছিল না। পরিবার অনেক স্বার্থত্যাগ করেছে আমার জন্য। স্ত্রীও আমার পাশে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে আমার খাওয়াদাওয়া এবং নিজেকে ফিট রাখার ব্যাপারে প্রচুর সাহায্য করেছে ও।”