দল এবং নিজের পারফরম্যান্সে খুশি অধিনায়ক রোহিত। ছবি: আইসিসি।
নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ় ৩-০ ব্যবধানে জিতে খুশি ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি অবশ্য বেশি খুশি পরিকল্পনা মতো শেষ ছ’টি এক দিনের ম্যাচে দলের সকলে খেলতে পারায়।
টম লাথামদে হারিয়ে আইসিসির এক দিনের ক্রমতালিকার শীর্ষে উঠে এল ভারত। টি-টোয়েন্টি ক্রমতালিকায় আগেই এক নম্বরে উঠে এসেছেন রোহিতরা। আসন্ন টেস্ট সিরিজ়ে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারলে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই আইসিসি ক্রমতালিকার শীর্ষে উঠে আসার সুযোগ রয়েছে ভারতের সামনে। যা অজানা নয় রোহিতের। যদিও তা নিয়ে ভেবে নিজেদের উপর চাপ বাড়াতে চান না তিনি। সব সময় প্রতিটি ম্যাচ জেতার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামতে চান। একই সঙ্গে জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ় সহজ হবে না।
রোহিত বলেছেন, ‘‘ব্যাটিং এবং বোলিংয়ে আমরা ধারাবাহিক ভাবে পারফর্ম করতে পারছি। আমাদের বেশির ভাগ জিনিসই ঠিকঠাক হচ্ছে। এটাই গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচে আমরা মহম্মদ শামি এবং মহম্মদ সিরাজকে বিশ্রাম দিয়েছিলাম। সাজঘরে বসে থাকা ক্রিকেটারদের সুযোগ দিতে চেয়েছিলাম। ওরা সকলেই দুর্দান্ত ক্রিকেটার। যুজবেন্দ্র চহাল এবং উমরান মালিককে দু’প্রান্ত থেকে বল করানোর পরিকল্পনা ছিল আমাদের। ওদের চাপের মুখে ফেলতে চেয়েছিলাম। কারণ আমাদের হাতে যথেষ্ট রান ছিল।’’ যদিও রোহিত মেনে নিয়েছেন ইনদওরের মতো ছোট মাঠে কোনও রানই নিরাপদ নয়।
হাতে যথেষ্ট রান থাকায় নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে চেয়েছিল ভারতীয় দল। রোহিত বলেছেন, ‘‘আমরা নিজেদের পরিকল্পনায় স্থির থাকতে চেয়েছিলাম। স্নায়ুর চাপ সামলাতে পারা গুরুত্বপূর্ণ হয় কখনও কখনও। শার্দুল ঠাকুর অনেক সময়ই সেটা করে দেখিয়েছে। তাই অনেকেই ওকে জাদুকর বলে। যখনই কুলদীপ যাদবকে বল দিয়েছে, ও আমাদের উইকেট দিয়েছে। ওকে আমরা আরও ম্যাচ খেলার সুযোগ দিতে চাই। কারণ যে স্পিনাররা কব্জির মোচড়ে বল ঘোরায়, তারা যত বেশি খেলার সুযোগ পায়, তত দক্ষ হতে পারে। শুভমন গিলের কথাও বলব। এই সিরিজ়ে দারুণ খেলল। তরুণ ক্রিকেটার। অথচ কী সহজ ভাবে ইনিংস শুরু করছে।’’
দীর্ঘ দিন পর নিজে শতরান করেও খুশি রোহিত। এ নিয়ে বলেছেন, ‘‘৩০ তম শতরান আমার কাছে অনেক কিছু। যদিও আমি চাই যতটা সম্ভব বেশি সময় উইকেটে কাটাতে। যাতে দলকে বড় রানের পথে নিয়ে যেতে পারি।’’