উমেশ রান আউট হওয়ায় হতাশ কোহলি। ছবি: টুইটার।
অক্ষর পটেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিনদের ২২ গজের সঙ্গী হিসাবে পেয়ে নিশ্চিত ছিলেন বিরাট কোহলি। ২০০ রান করা নিয়ে তেমন সংশয় ছিল না তাঁর। কিন্তু অশ্বিন আউট হওয়ার পর কিছুটা দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন কোহলি। তাতেই রান আউট হতে হল উমেশ যাদবকে।
অশ্বিন আউট হওয়ার পর ব্যাট করতে নামেন উমেশ। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথের লক্ষ্য তখন ভারতীয় বোলারদের উইকেট। ব্যাট করছেন কোহলি। তাই ফিল্ডারদের তিনি প্রায় সবাইকেই পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বাউন্ডারি লাইনের কাছে। যাতে কোহলি সহজে ১ রান নিতে পারেন এবং নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে চলে যান। কারণ উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া কোহলির থেকে নতুন ব্যাট করতে নামা বোলারদের আউট করা সহজ। স্মিথের এই পরিকল্পনায় জল ঢালতে গিয়ে উমেশকে রান আউট করে দিলেন কোহলি।
ভারতীয় ইনিংসের ১৭৭তম ওভারের তৃতীয় বলের ঘটনা। কোহলির রান তখন ১৮৩। টড মারফির বল অন সাইডে খেলে খুচরো রান নেওয়ার জন্য দৌড়তে শুরু করেন কোহলি। তাঁর ডাকে সাড়া দেন উমেশও। প্রথম রান দ্রুত শেষ করে কোহলি দ্বিতীয় রান নেওয়ার জন্য চিৎকার করে উমেশকে দৌড়তে বলেন। কোহলিকে বলতে শোনা যায়, ‘‘দৌড়, ২ রান হয়ে যাবে।’’ কোহলির কথা শুনে উমেশও দ্বিতীয় রানের জন্য দৌড় শুরু করেন। কিন্তু তিনি ক্রিজে পৌঁছানোর আগেই বাউন্ডারি লাইন থেকে পিটার হ্যান্ডসকম্বের ছোড়া বল সরাসরি উইকেট ভেঙে দেয়। রান আউট হয়ে যান উমেশ। এ জন্য অবশ্য কোহলিকে দোষ দেওয়া যায় না। কারণ রান নেওয়ার সময় উমেশের গতি ছিল কিছুটা মন্থর। তাঁর চোখ ছিল ফিল্ডারের দিকে। ক্রিজ থেকে কতটা দূরে রয়েছেন, সে খেয়াল ছিল না উমেশের। তিনি হয়তো ভাবেননি হ্যান্ডসকম্বের ছোড়া বল সরাসরি উইকেট লাগবে। স্বভাবতই রান আউট হয়ে যান উমেশ।
এ ভাবে আউট হয়ে জোরে বোলার হেসে ফেলেন। তবে সতীর্থ আউট হওয়ার আফসোস দেখা গিয়েছে কোহলির মুখে। পরে তিনিও হেসে ফেলেন। সারা দিন সাজঘরে বসে থাকা উমেশের মন্থর দৌড় তাঁর পছন্দ হয়নি। কারণ, শ্রেয়স আয়ার পিঠের চোটের জন্য ব্যাট করতে না পারায়, এমনিতেই এক জন কম ব্যাটার নিয়ে খেলতে হয়েছে ভারতকে। তা ছাড়া উমেশের পর ছিলেন শুধু মহম্মদ শামি। হাতে উইকেট না থাকায় দ্রুত দ্বিশতরান পূর্ণ করতে চেয়েছিলেন কোহলি। কিন্তু উমেশের মন্থর দৌড় জল ঢেলে দিল কোহলির পরিকল্পনায়।