জাডেজার বল খেলতে সমস্যায় পড়ছেন অস্ট্রেলিয়ার সব ব্যাটারই। ছবি: টুইটার।
দিল্লি টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের দুই স্পিনার রবীন্দ্র জাডেজা এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে সামলাতেই পারলেন না অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা। দু’জনে মিলে তুলে নিলেন ১০ উইকেট। স্মিথদের বেশি সমস্যায় ফেললেন জাডেজা। ৪২ রান খরচ করে ৭ উইকেট নিলেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার।
মাঠে দেখলে কে বলবে পাঁচ মাস ক্রিকেট মাঠের বাইরে ছিলেন জাডেজা। হাঁটুর গুরুতর চোট সারাতে অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে তাঁকে। তা-ও মাঠে ফিরেই চেনা ছন্দে দেখা যাচ্ছে সৌরাষ্ট্রের ক্রিকেটারকে। নাগপুরে প্রথম টেস্টে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। দিল্লিতে শুধু দ্বিতীয় ইনিংসেই নিলেন উইকেট। ম্যাচে ৯ উইকেট। দিল্লিতেই টেস্টে ক্রিকেটে নিজের সেরা বোলিং করলেন জাডেজা। ৪২ রান খরচ করে নিয়েছেন ৭ উইকেট। এর আগে তাঁর সেরা বোলিং ছিল ৪৮ রানে ৭ উইকেট।
ক্রিকেটজীবনের সেরা টেস্ট বোলিং করার পাশাপাশি আরও একটি নজির গড়লেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতে পর পর দু’টেস্টে ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিলেন জাডেজা। টেস্টে এই নিয়ে ১২ বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলেন।
রবিবার সকালে জাডেজা উইকেটের অন্য প্রান্ত থেকে সাহায্য পেলেন অশ্বিনেরও। ২২ গজের প্রান্ত থেকে দুই স্পিনার মিলে দিনের শুরু থেকেই অস্বস্তিতে ফেললেন সফরকারীদের। অস্ট্রেলিয়ার কোনও ব্যাটারকেই তাঁদের সামনে স্বচ্ছন্দ দেখায়নি। পালা করে উইকেট তুলতে শুরু করেন তাঁরা। তুলনায় বেশি বিপজ্জনক ছিলেন জাডেজা। অশ্বিন ৩ উইকেট নিয়েছেন ৫৯ রান খরচ করে। তাঁদের দাপটে অস্ট্রেলিয়ার ন’জন ব্যাটার দু’অঙ্কের রানও করতে পারেননি। তৃতীয় দিন সকালে অন্য কোনও বোলারকে আক্রমণে আনার সুযোগ পেলেন না রোহিত শর্মা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নির্দেশে রঞ্জি ট্রফির একটি ম্যাচ খেলতে হয়েছিল জাডেজাকে। চোট সারানোর পর পাঁচ দিনের ম্যাচের ধকল তিনি নিতে পারবেন কি না, তা দেখে নিতে চেয়েছিলেন বোর্ড কর্তারা। তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে সেই ম্যাচেও সৌরাষ্ট্রের হয়ে ভাল পারফরম্যান্স করেছিলেন জাডেজা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে নাগপুরে বলের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। দিল্লিতেও প্রায় একার হাতেই শেষ করে দিলেন কামিন্সদের দ্বিতীয় ইনিংস।