নাগপুর টেস্টের মাঝে কামিন্সের চিন্তা বাড়ালেন এক সতীর্থ। ছবি: টুইটার।
নাগপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে রান পাননি। দ্বিতীয় দিন সকালে মাঠে নামতে পারলেন না অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার ম্যাথু রেনশ। শুক্রবার সকালে খেলা শুরুর আগে গা ঘামানোর সময় হাঁটুতে চোট পেয়েছেন তিনি। স্ক্যান করানোর জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
চোটের জন্য ক্যামেরুন গ্রিন এবং মিচেল স্টার্ককে পাচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া। তার উপর রেনশর চোট কামিন্সদের উদ্বেগ আরও বাড়াল। শুক্রবার তাঁর পরিবর্ত হিসাবে অ্যাস্টন আগার ফিল্ডিং করতে নামলেও চিন্তিত সফরকারীরা। রেনশর চোট কতটা গুরুতর, তা নিয়ে অস্ট্রেলিয়া শিবির থেকে কিছু জানানো হয়নি। স্ক্যানের রিপোর্ট পাওয়ার পর বোঝা যাবে এই টেস্টে তিনি আর খেলতে পারবেন কিনা। অস্ট্রেলিয়া দলের চিকিৎসক তাঁর চোট পরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
ট্রেভিস হেডকে না নিয়ে রেনশকে নাগপুর টেস্টের প্রথম একাদশে রেখেছিলেন কামিন্সরা। তাঁর হাঁটুর চোট অবশ্য নতুন নয়। পুরনো চোটের জায়গাতেই আবার লেগেছে তাঁর। শুক্রবার সকালে অল্প গা ঘামানোর পরেই হাঁটুতে বরফের দিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। ভারত সফরের দলে রেনশকে রাখার সময়ই প্রশ্ন উঠেছিল তাঁর ফিটনেস নিয়ে। সে সময় মনে করা হয়েছিল, ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্টের আগে সম্পূর্ণ সুস্থ উঠবেন তিনি।
দলের অন্যতম মিডল অর্ডার ব্যাটার দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে না পারলে সমস্যায় পড়তে পারেন কামিন্সরা। নাগপুরে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছে ১৭৭ রানে। রেনশকে (শূন্য) প্রথম বলেই আউট করেছিলেন রবীন্দ্র জাডেজা। শুক্রবার পরের দিকে রেনশ অবশ্য মাঠে নামেন ফিল্ডিং করতে। চোট গুরুতর না হওয়ায় আপাতত স্বস্তি ফিরেছে সফরকারীদের শিবিরে।
গত মাসে সিডনি টেস্টের মাঝ পথেও ছিটকে গিয়েছিলেন রেনশ। কোভিড আক্রান্ত এক ব্যক্তির সংস্পর্শে আসায় নিভৃতবাসে যেতে হয়েছিল তাঁকে। সেই অর্থে পর পর দু’টি টেস্টের মাঝ পথে সমস্যায় পড়লেন রেনশ।
২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার শেষ ভারত সফরের সময়ও সমস্যা পড়েছিলেন ২৬ বছরের ব্যাটার। পেটের সমস্যার জন্য পুনেতে টেস্ট খেলার মাঝে আম্পায়ারের অনুমতি নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। এ বারও ভারত সফরের প্রথম টেস্টেই নিজের এবং দলের সমস্যা বাড়ালেন রেনশ।