ট্র্যাভিস হেড। ছবি: আইসিসি।
টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রথম ইনিংসে ১৬৩ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেছিলেন ট্র্যাভিস হেড। চতুর্থ উইকেটে তাঁর সঙ্গে স্টিভ স্মিথের ২৯৫ রানের জুটিই কোণঠাসা করে দিয়েছিল ভারতকে। সেখান থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারেননি রোহিত শর্মারা। অনবদ্য শতরানের জন্য হেডকেই বেছে নেওয়া হয়েছে ফাইনালের সেরা ক্রিকেটার হিসাবে। দলের টেস্ট বিশ্ব জয়ে অবদান রাখতে পেরে খুশি হেড। বড় রান স্বস্তি দিলেও হেডের দাবি খুব সহজ ছিল না ব্যাট করা।
ম্যাচের পর হেড বলেছেন, ‘‘এই জয়টা অসাধারণ। গত দু’বছর আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। দু’বছর ধরে একটা লক্ষ্য সামনে রেখে এগিয়েছি। এই জয় তারই সুফল।’’ নিজের ইনিংস নিয়ে হেড বলেছেন, ‘‘লক্ষ্য ছিল উইকেটে গিয়ে সব সময় সক্রিয় থাকা। রান তোলা। বল বুঝে খেলার চেষ্টা করেছি। মাথায় রেখেছিলাম, ভারতীয়রা ধারাবাহিক ভাবে ভাল জায়গায় বল রাখলেও ধৈর্য্য হারালে চলবে না। বড় ইনিংস খেলার চেষ্টা করতে হবে।’’
ওভালের ২২ গজে ভারতীয় বোলিং আক্রমণ কি আদৌ কোনও সমস্যা তৈরি করতে পেরেছিল? হেড বলেছেন, ‘‘হ্যাঁ, গোটা ইনিংসেই আমাকে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। তবু যে ভাবে চেয়েছিলাম সে ভাবে ব্যাট করতে পারায় ভাল লাগছে। স্মিথের সঙ্গে আমার জুটিটাও খুব উপভোগ্য ছিল। স্মিথও এই টেস্টে দারুণ পারফরম্যান্স করল।’’
টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো বড় মঞ্চে সফল হওয়ার আত্মবিশ্বাস কী ভাবে পেলেন? হেড বলেছেন, ‘‘আমি প্রথম থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। মাঠে নেমে নিজেকে প্রয়োগ করতে চেয়েছিলাম। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট এবং টেস্টে সাফল্যের রাস্তা খুঁজে পেতে আমার কিছুটা সময় লেগেছে। পরিবর্তনকে আমি সব সময় স্বাগত জানাই। কাজের প্রতি সব সময় দায়বদ্ধ থাকার চেষ্টা করি। চেষ্টা করি দলের জন্য ধারাবাহিক ভাবে পারফরম্যান্স করার। সে ভাবেই এই পর্যন্ত পৌঁছেছি।’’