রোহিত শর্মা। —ফাইল ছবি।
নালিশ করেও লাভ হল না পাকিস্তানের। ১৪ অক্টোবরের ম্যাচে আমদাবাদের দর্শকদের ব্যবহার নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের এই অভিযোগকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন না ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কর্তারা। ফলে আয়োজক ভারতের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ভাবছেন না আইসিসি কর্তারা।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখার পর সোমবার দেশে ফিরেছেন পিসিবি চেয়ারম্যান জ়াকা আশরফ। মঙ্গলবার পিসিবির অন্য সিনিয়র কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর আইসিসির কাছে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। পাকিস্তানের ক্রিকেট কর্তাদের অভিযোগ ছিল, নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে দর্শকদের আচরণ গ্রহণযোগ্য ছিল না। পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের নানা ভাবে বিদ্রুপ করা হয়েছে। অধিনায়ক বাবর আজ়মের জন্য অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল। টসের সময় পাক অধিনায়ককে বিদ্রুপ করে আমদাবাদের গ্যালারি। মহম্মদ রিজ়ওয়ান আউট হয়ে ফেরার সময় বিদ্রুপের শিকার হন। এই বিষয়গুলি আইসিসির ইভেন্টে কাম্য নয়। সে দেশের সমর্থক এবং সাংবাদিকদের ভারতের ভিসা না দেওয়া নিয়েও অভিযোগ জানানো হয়।
পাকিস্তানের অভিযোগ খতিয়ে দেখেছেন আইসিসি কর্তারা। তাঁরা মনে করছেন, আয়োজক দেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো কিছু নেই। সূত্রের খবর, কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। লক্ষাধিক মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগের ক্ষেত্রে কিছু করার নেই। আইসিসির এক কর্তা বলেছেন, ‘‘আইসিসি প্রতিটি অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখে। নির্দিষ্ট কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ হলে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। কিন্তু পিসিবি কর্তারা কী দেখেছেন, তার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা যায়। কিন্তু হাজার হাজার মানুষ এক সঙ্গে চিৎকার করলে বা স্লোগান দিলে কার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। গ্যালারি থেকে কোনও কিছু ছোড়া হয়নি। কোনও ক্রিকেটার আহতও হননি। সাধারণ দর্শকদের প্রত্যাশার চাপ তো থাকবেই। এই ধরনের ম্যাচে যা খুব স্বাভাবিক।’’
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বর্ণবিদ্বেষমূলক কোনও ঘটনা ঘটেনি। ক্রিকেটপ্রেমীরা নিজেদের প্রিয় দলকে উৎসাহিত করেছেন। এই ধরনের ম্যাচে প্রিয় দলকে চাঙ্গা রাখতে দর্শকেরা নানা কিছু করেন। যা খেলার মাঠে অত্যন্ত স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন আইসিসি কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, দর্শকদের আচরণ খেলায় কোনও বিঘ্ন ঘটায়নি। পাকিস্তানের ক্রিকেটারের ক্ষতিও হয়নি। দর্শকদের উচ্ছ্বাস নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে নয় আইসিসি।