হার্দিক পাণ্ড্য (বাঁ দিকে) ও সূর্যকুমার যাদব। —ফাইল চিত্র
ভারতের কুড়ি-বিশের দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার তাঁরা। দু’জনেই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে দু’জনেই চোটে রয়েছেন। ফলে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে খেলতে পারবেন না হার্দিক পাণ্ড্য ও সূর্যকুমার যাদব। তাঁরা আবার কবে ফিরবেন তার একটি ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।
১১ জানুয়ারি থেকে ভারত-আফগানিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজ় শুরু। ৬ জানুয়ারি আফগানিস্তান দল ঘোষণা করলেও ভারত এখনও দল ঘোষণা করেনি। এই পরিস্থিতিতে জানা গিয়েছে, হার্দিক ও সূর্যকে পাওয়া যাবে না। এখন বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে সুস্থ হচ্ছেন তাঁরা। ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, আইপিএলে দুই ক্রিকেটার আবার মাঠে ফিরতে পারেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আইপিএলকে প্রস্তুতির মঞ্চ হিসাবে দেখছেন তাঁরা।
আফগানিস্তান সিরিজ়ে পাওয়া যাবে না রুতুরাজ গায়কোয়াড়কেও। আঙুলে চোট লেগেছে তাঁর। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজেও অনিশ্চিত রুতুরাজ। তাঁকেও হয়তো আইপিএলে ফিরতে দেখা যাবে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধেই শেষ বার কুড়ি-বিশের ক্রিকেট খেলবে ভারত। তাই আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বিসিসিআই তেমন দল খেলাতে চাইছে যাদের বিশ্বকাপে খেলানো যাবে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের সময় সে দেশে গিয়েছিলেন নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর। রোহিত ও বিরাটের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। দুই ভারতীয় ক্রিকেটার নাকি বলেছেন যে তাঁরা খেলতে তৈরি।
রোহিত ও বিরাটকে যদি দলে রাখা হয় তা হলে অবশ্যই প্রথম একাদশে খেলানোর কথা ভেবেই নেওয়া হবে। তেমনটা হলে ভারতীয় দলের ভারসাম্যে সমস্যা হতে পারে বিশ্বকাপে। যেমন, যদি রোহিত, বিরাট, শুভমন গিল, সূর্যকুমার যাদব, শ্রেয়স আয়ার ও হার্দিক পাণ্ড্যকে খেলানো হয় তা হলে প্রথম ছয় ব্যাটারে এক জনও বাঁ হাতি নেই। অর্থাৎ, যশস্বী জয়সওয়াল ও ঈশান কিশনকে সে ক্ষেত্রে বাইরে বসতে হতে পারে। বাদ পড়তে হবে রুতুরাজ গায়কোয়াড়কেও।
আবার গত কয়েকটি সিরিজ়ে ভারতের মিডল অর্ডারে ভরসা দেখিয়েছেন রিঙ্কু সিংহ ও জীতেশ শর্মা। কিন্তু বিরাট, রোহিত খেললে তাঁদের জায়গা হওয়া সম্ভব নয়। কারণ, টি-টোয়েন্টিতে অলরাউন্ডারের প্রয়োজন বেশি। রোহিত, বিরাটকে দলে নিলেও প্রথম একাদশ থেকে বাইরে রাখার সাহস কি ম্যানেজমেন্ট দেখাতে পারবে? সেই প্রশ্নও উঠছে।