(বাঁ দিকে) গৌতম গম্ভীর এবং হার্দিক পাণ্ড্য (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার জন্য শনিবার রাতে শহরে চলে এসেছেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটারেরা। এসেছেন কোচ গৌতম গম্ভীরও। রবিবার ইডেন গার্ডেন্সে প্রথম অনুশীলন করে ভারতীয় দল। দীর্ঘ দিন ভারতীয় দলে ফেরা মহম্মদ শামির দিকে আলাদা নজর ছিল সংবাদমাধ্যমের। তার থেকেও বেশি নজর কেড়েছে গম্ভীর এবং হার্দিক পাণ্ড্যর একান্তে ৩০ মিনিটের বেশি কথাবার্তা।
আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক হিসাবে হার্দিককে চেয়েছিলেন গম্ভীর। কিন্তু অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকরের আপত্তিতে কোচের সেই ইচ্ছা পূর্ণ হয়নি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রোহিতের ডেপুটি হিসাবে যাচ্ছেন শুভমন গিল। ভারতের দল নির্বাচনী সভা সহ-অধিনায়ক ইস্যুতে যে বেশ উত্তাল হয়েছিল, তা জানা গিয়েছে। রবিবার ইডেনে হার্দিকের সঙ্গে গম্ভীরের দীর্ঘ আলোচনা তাই স্বাভাবিক ভাবেই নজর কেড়েছে।
মাঠের এক পাশে হার্দিকের সঙ্গে গম্ভীরকে ৩০ মিনিটের বেশি সময় আলাদা করে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে কী কথা হয়েছে, তা জানা যায়নি। এ নিয়ে গম্ভীর বা হার্দিক কেউই কিছু জানাননি। তবু তৈরি হয়েছে জল্পনা। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে একাধিক সিরিজ়ে রোহিত শর্মার অনুপস্থিতিতে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন হার্দিক। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর রোহিত ২০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ায় মনে করা হয়েছিল, হার্দিকই অধিনায়ক হবেন। কিন্তু জাতীয় নির্বাচকেরা বেছে নিয়েছেন সূর্যকুমার যাদবকে। সেই সিদ্ধান্ত অনেককেই বিস্মিত করেছিল। এ বার ভারতীয় দলের কোচ হার্দিককে এক দিনের দলের সহ-অধিনায়ক হিসাবেও চেয়েও পাননি। তাই মনে করা হচ্ছে, ৩০ মিনিটের বেশি সময় ধরে গম্ভীর এবং হার্দিক তা নিয়েই কথা বলেছেন নিজেদের মধ্যে। রোহিত-আগরকরদের বক্তব্য বা যুক্তি হয়তো অলরাউন্ডারের কাছে ব্যাখ্যা করেছেন গম্ভীর। যাতে হার্দিক হতাশ না হন। আত্মবিশ্বাসী হয়ে খেলতে পারেন।
উল্লেখ্য, ভারত-ইংল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ২২ জানুয়ারি কলকাতায়। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ের পর তিন ম্যাচের এক দিনের সিরিজ়ে মুখোমুখি হবে দু’দল। যা মূলত আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি সিরিজ় হিসাবে দেখা হচ্ছে।