ব্রেন্ডন টেলর ফাইল ছবি
তাঁকে ম্যাচ গড়াপেটায় যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ভারতের এক জুয়াড়ি। সম্প্রতি নেটমাধ্যমে বিবৃতি জারি করে এ কথা জানালেন জিম্বাবোয়ের প্রাক্তন ক্রিকেটার ব্রেন্ডন টেলর। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন এবং কিছু দিন সময় নিয়ে তিনি ব্যাপারটি আইসিসি-কে জানান। এই ঘটনা তাঁকে মানসিক ভাবে এতটাই বিপর্যস্ত করে ফেলেছে যে, তিনি এখন একটি রিহ্যাব সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গোটা বিষয়টি টুইটারে তুলে ধরে টেলর লিখেছেন, ‘গত দু’বছর ধরে একটা বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছি। পরিস্থিতি আমাকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে নিয়ে গিয়েছে এবং মানসিক ভাবে অত্যন্ত প্রভাব ফেলেছে। সম্প্রতি আমি গোটা ব্যাপারটা বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারকে জানাই এবং তাদের ভালবাসা ও সমর্থনে আজ সবাইকে এই ঘটনাটা জানাতে চাই।’
ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে টেলর লিখেছেন, ‘২০১৯-এর অক্টোবরের শেষের দিকে ভারতের এক ব্যবসায়ী আমাকে স্পনসরশিপ এবং জিম্বাবোয়েতে চালু হতে চলা একটি টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার ব্যাপারে কথা বলতে সে দেশে যেতে বলেন। আমাকে মোটা টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়। একটু ভীত ছিলাম। কিন্তু গত ছ’মাস ধরে জিম্বাবোয়ে ক্রিকেট আমাদের একটাও টাকা না দেওয়ায় এটাও মাথায় আসছিল যে, আদৌ জিম্বাবোয়ে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে পারবে কি না।’
To my family, friends and supporters. Here is my full statement. Thank you! pic.twitter.com/sVCckD4PMV
— Brendan Taylor (@BrendanTaylor86) January 24, 2022
টেলরের সংযোজন, ‘আমি ভারতে যাই। ওদের সঙ্গে আলোচনা হয় এবং ফিরে আসার আগে শেষ রাতে হোটেলে আমার জন্য ওই ব্যবসায়ী এবং তাঁর সহকর্মীরা একটি নৈশভোজের আয়োজন করেন। মদ্যপানের পর ওঁরা সরাসরি আমাকে কোকেন নেওয়ার প্রস্তাব দেন এবং নিজেরাও কোকেন নিতে থাকেন। আমি বোকার মতো কোকেন নিয়ে ফেলেছিলাম। অন্তত লক্ষ বার এই ঘটনাটা নিয়ে ভেবেছি এবং কী ভাবে আমার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে সেটা বুঝতে পেরেছি।’
টেলরের দাবি, তাঁর কোকেন নেওয়ার ছবি তুলে রাখা হয় এবং ব্ল্যাকমেল করে ম্যাচ গড়াপেটায় যুক্ত হওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। তবে টেলর এটাও জানিয়েছেন তিনি কোনও দিন ম্যাচ গড়াপেটা করেননি এবং ঘটনার কিছু দিন পরেই আইসিসি-কে গোটা ব্যাপারটি জানান। তবে দেরি করে জানানোর অপরাধে তাঁকে একাধিক বছরের জন্য নির্বাসিত করতে পারে আইসিসি।
টেলর বলেছেন, ‘আমি প্রতারক নই। ক্রিকেট খেলাটাকে ভালবাসি। তাই আইসিসি-কে ঘটনার কথা জানানোর পর আমি বহু সাক্ষাৎকার দিয়েছি এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। কারণ আমি সৎ এবং স্বচ্ছ ছিলাম এবং ওদের তদন্তে সব রকম সাহায্য করতে তৈরি ছিলাম।’