ধোনির কিপিংয়ের সমালোচনা প্রাক্তন পাক উইকেটরক্ষকের ফাইল চিত্র
উইকেটের পিছনে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন পাকিস্তানের প্রাক্তন উইকেটরক্ষক রশিদ লতিফ। তাঁর মতে, ধোনি বড় নাম হতে পারেন, কিন্তু উইকেটের পিছনে তাঁর ক্যাচ ফস্কানোর পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যাবে তিনি মোটেও খুব দক্ষ উইকেটরক্ষক নন। দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডিকককে ধোনির থেকে এগিয়ে রেখেছেন রশিদ।
টেস্টে ২৫৬টি ক্যাচ ধরেছেন ধোনি। স্টাম্প করেছেন ৩৮টি। এক দিনের ক্রিকেটে ৩২১টি ক্যাচের পাশাপাশি ১২৩টি স্টাম্প করেছেন তিনি। আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁর ক্যাচের সংখ্যা ৫৭টি। স্টাম্প করেছেন ৩৪টি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মোট ৬৩৪টি ক্যাচ ও ১৯৫টি স্টাম্প করলেও ধোনিকে বেশি নম্বর দিতে চান না রশিদ। কারণ হিসাবে তিনি তুলে ধরছেন ক্যাচ ফস্কানোর পরিসংখ্যান।
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে রশিদ বলেন, ‘‘ধোনি প্রথমে এক জন ব্যাটার। তার পরে ও উইকেটরক্ষক। ধোনি ক্রিকেটে বড় নাম। কিন্তু পরিসংখ্যানে দেখা যাবে ও ২১ শতাংশ ক্যাচ ফস্কেছে। ক্রিকেটে সেটা অনেক বড় সংখ্যা।’’ রশিদের মতে, সবাই দেখেন কে ক’টা ক্যাচ নিয়েছে। কিন্তু কে ক’টা ক্যাচ ফস্কেছে সেটা কেউ দেখেন না। তিনি বলেন, ‘‘সবাই ক্যাচের সংখ্যা দেখে। কিন্তু কেউ দেখে না এক জন উইকেটরক্ষক কতগুলো ক্যাচ ফস্কেছে, কতগুলো স্টাম্প বা রানআউট করতে পারেনি। সেগুলোও দেখা উচিত। তবেই কে ভাল, কে খারাপ বোঝা যাবে।’’
গত ১৫ বছরে বিশ্ব ক্রিকেটে যত জন উইকেটরক্ষক এসেছেন তাঁদের মধ্যে কে ভাল সেই প্রসঙ্গে রশিদ বলেন, ‘‘গত ১৫ বছরে সেরা উইকেটরক্ষক ডিকক। তিন ফরম্যাটেই ও খেলেছে। ওর কিপিং দক্ষতা খুব ভাল। এ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার মার্ক বাউচার ও শ্রীলঙ্কার কুমার সঙ্গকারার নামও আমি বলব।’’
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রশিদ নিজে ৩০১টি ক্যাচ ধরেছেন। স্টাম্প করেছেন ৪৯টি। তিনি যাঁদের কথা বলেছেন তাঁদের মধ্যে পরিসংখ্যানে সব থেকে এগিয়ে বাউচার। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৯৫৩টি ক্যাচ ধরার পাশাপাশি ৪৬টি স্টাম্প করেছেন। সঙ্গকারা ক্যাচ ধরেছেন ৬০৯টি। স্টাম্প করেছেন ১৩৯টি। অন্য দিকে ডিকক ধোনির থেকে পরিসংখ্যানে অনেক পিছিয়ে রয়েছেন। তিনি ৩০১টি ক্যাচ ধরেছেন ও ৪৯টি স্টাম্প করেছেন। তবে এই চার জন ক্রিকেটারের মধ্যে একমাত্র ডিককই এখনও ক্রিকেট খেলছেন। বাকিরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন।