প্রবীণ কুমার। — ফাইল চিত্র।
ভারতীয় ক্রিকেট দলে এক সময় নিয়মিত মুখ ছিলেন তিনি। কিন্তু চোট এবং মাঠের বাইরে বিভিন্ন কাজের জন্য নিজের জায়গা দীর্ঘ দিন ধরে রাখতে পারেননি। ভারতের সেই মিডিয়াম পেসার প্রবীণ কুমার আবার বিতর্ক তৈরি করলেন নতুন মন্তব্য করে। এক সাক্ষাৎকারে তাঁর দাবি, সব ভারতীয় ক্রিকেটারই নাকি মদ খান! কিন্তু স্বীকার কেউ করেন না।
এক সময় আইপিএলে নিয়মিত খেলা প্রবীণের নাম অতীতে একাধিক বার বিতর্কে জড়িয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন তাঁর নাকি নিয়মিত মদ্যপানের অভ্যাস রয়েছে। ঝামেলাও করেন সে কারণে। কিন্তু সব দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন প্রবীণ। তাঁর কথায়, এ সবই তাঁকে বদনাম করার অপচেষ্টা।
সাক্ষাৎকারে প্রবীণ বলেছেন, “ভারতীয় দলে থাকার সময় সিনিয়রেরা খালি বলত, ‘মদ খাস না, এটা করিস না, ওটা করিস না’। সব সময় একই কথা বলত। কিন্তু সবাই সব কিছু করে। শেষ পর্যন্ত বদনাম হয় আমার। বলা হয়, ‘পিকে তো মদ্যপান করে’। আসলে সবাই মদ খায়।”
তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, সচিন তেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো ক্রিকেটারেরা তাঁকে কোনও দিন এ ধরনের উপদেশ দিয়েছেন কি না। সাবধানী হয়ে প্রবীণের জবাব, “আমি কারও নাম নিতে চাই না। ক্যামেরার সামনে কারও নাম বলব। কিন্তু পিকে-র বদনাম কে করত সেটা সবাই জানে।”
একই অনুষ্ঠানে আরও কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন প্রবীণ। বলেছেন, ‘‘সব দলই কম-বেশি বল বিকৃত করে। পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরা একটু বেশিই বল বিকৃত করে। ওরা বলের এক দিক সমানে আঁচড়াতে থাকে। তবে বল শুধু বিকৃত করলেই হয় না। দলের অন্তত এক জনকে তার সুবিধা নিতে জানতে হয়। বলের এক দিক আঁচড়ে কারও হাতে বল তুলে দিলেই রিভার্স সুইং হবে না। তার সেই দক্ষতা থাকতে হবে।’’
পাকিস্তানের প্রাক্তন জোরে বোলার সরফরাজ় নওয়াজ়কে রিভার্স সুইয়ের জনক বলা হয়। পরে ইমরান খান, ওয়াসিম আক্রম, ওয়াকার ইউনিসেরাও দক্ষতার সঙ্গে রিভার্স সুইং করাতেন। এখন বিশ্বের অনেক জোরে বোলারই রিভার্স সুইং করাতে পারেন। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে জাহির খান, মহম্মদ শামিদের এই দক্ষতা আছে। প্রবীণের দাবি অনুযায়ী, বল বিকৃত না করলে রিভার্স সুইং করানো সম্ভব নয়। ভারতীয় দলের প্রাক্তন বোলারের কথায়, পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরা রিভার্স সুইংকে যে শিল্প বলেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
২০০৭ থেকে ২০১২ পর্যন্ত ভারতের হয়ে খেলেছেন উত্তরপ্রদেশের প্রবীণ। দেশের হয়ে ৬টি টেস্ট, ৬৮টি এক দিনের ম্যাচ এবং ১০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর ১১২টি উইকেট রয়েছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, কিংস ইলেভেন পঞ্জাব, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে প্রবীণের।