অজয় ভাল্লা। —ফাইল চিত্র।
গত দেড় বছর ধরে কুকি-মেইতেই সংঘর্ষে হিংসাদীর্ণ মণিপুরে রাজ্যপাল হিসেবে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লাকে নিয়োগ করল মোদী সরকার। মণিপুরের রাজ্যপালের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল মধ্যপ্রদেশের বিজেপি আদিবাসী নেত্রী অনুসূয়া উইকে-কে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের পদে চারবার মেয়াদ বৃদ্ধির জেরে প্রায় পাঁচ বছর অজয় ভাল্লা ওই পদে ছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত ভাল্লা গত অগস্টে স্বরাষ্ট্র সচিবের পদ থেকে অবসর নেন। তার আগে তিনি শাহর সঙ্গে মণিপুরে গিয়েছেন। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এন বীরেন সিংহের কার্যকারিতা নিয়ে বিজেপির অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজভবনে মোদী সরকার একেবারে নিজের আস্থাভাজন ব্যক্তিকে নিয়োগ করল বলে রাজনৈতিক শিবির মনে করছে। অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিক কে সি সিংহের মতো অনেকেই এই পদক্ষেপকে মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির আগাম ইঙ্গিত হিসেব দেখছেন।
মণিপুরের পাশের রাজ্য মিজ়োরামে রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে প্রাক্তন সেনাপ্রধান অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ভি কে সিংহকে। তিনি একসময় মোদী সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। মিজ়োরামের রাজ্যপালের পদ থেকে হরি বাবু কাম্ভামপতিকে সরিয়ে ওড়িশার রাজ্যপাল করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে জানানো হয়েছে, ওড়িশার রাজ্যপালের পদ থেকে রঘুবর দাস ইস্তফা দিয়েছেন। ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই সে রাজ্যের বিজেপি নেতা রঘুবর দাসের ফের নির্বাচনী রাজনীতিতে ফেরা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল।
আগামী বছর বিহারে বিধানসভা ভোট। কেরল থেকে আরিফ মহম্মদ খানকে সরিয়ে এনে বিহারের রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ করেছে মোদী সরকার। জোট শরিক জেডিইউ-র মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে চাপে রাখার চেষ্টা না কি বিধানসভা ভোটের পরে ত্রিশঙ্কু বিধানসভার সম্ভাবনা ধরে নিয়ে আগাম কৌশল, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। বিহারের রাজ্যপাল রাজেন্দ্র বিশ্বনাথ আর্লেকরকে পাঠানো হয়েছে কেরলে।