আইপিএলের ট্রফি। — ফাইল চিত্র।
আইপিএল খেলতে মুখিয়ে থাকেন বিশ্বের বেশির ভাগ ক্রিকেটারই। কিন্তু দেশের হয়ে ম্যাচ বা অন্য কোনও দায়বদ্ধতার কারণে পুরো প্রতিযোগিতায় খেলা হয় না। তবে সে দিক থেকে ২০২৪-এর আইপিএল বাকিগুলির থেকে আলাদা হতে চলেছে। বেশির ভাগ বড় দেশের সেরা ক্রিকেটারেরাই পরের বারের আইপিএলে পুরোটাই খেলবেন। দু’-একজন আছেন যাঁদের মাঝপথে পাওয়া যাবে। নিলামের আগেই তিন জন ক্রিকেটার নামও তুলে নিয়েছেন।
সোমবার পর্যন্ত যা খবর, তাতে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তান, নিউ জ়িল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের সব ক্রিকেটারকেই গোটা আইপিএলে পাওয়া যাবে। ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের শর্তসাপেক্ষে আইপিএল খেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আইপিএলে বেশি কাড়াকাড়ি থাকে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের নিয়ে। তবে জশ হেজলউড বাদে প্রত্যেককেই গোটা আইপিএলে পাওয়া যাবে। হেজলউড মে মাসের প্রথম সপ্তাহে যোগ দিতে পারবেন। তত দিনে আইপিএলের অর্ধেকেরও বেশি হয়ে যাবে। অস্ট্রেলিয়া বোর্ড ক্রিকেটারদের ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি ভারতীয় বোর্ডকে জানিয়েও দিয়েছে। সেই সময় অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে শেফিল্ড শিল্ডের খেলা রয়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার বোর্ড তাদের ক্রিকেটারদের সেই ম্যাচে খেলা বাধ্যতামূলক নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে।
ইংল্যান্ড বোর্ড জানিয়েছে, ক্রিকেটারেরা আনফিট না হলে বা দেশের খেলা না থাকলে আইপিএলে খেলতে পারে। ইংল্যান্ডের পরবর্তী সূচি এখনও পরিষ্কার নয়। ইংরেজ ক্রিকেটার রেহান আহমেদ ইতিমধ্যেই নাম তুলে নিয়েছেন। জুন মাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা ভেবে ইংল্যান্ড বোর্ড একটি সূচি তৈরি করছে। তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। কোনও ম্যাচ আইপিএলের মাঝে পড়লে ক্রিকেটারদের ছেড়ে দিতে হবে।
বাংলাদেশ এবং আয়ারল্যান্ড বোর্ডও আংশিক ভাবে তাদের ক্রিকেটারদের ছাড়বে। তবে বিশেষ অনুমতি দেওয়া হয়েছে মুস্তাফিজুর রহমান এবং জশ লিটলকে। মুস্তাফিজুর ২২ মার্চ থেকে ১১ মে পর্যন্ত থাকতে পারেন। এ দিকে, শ্রীলঙ্কা বনাম বাংলাদেশ টেস্ট রয়েছে ৩০ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল। কয়েক জন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারকে সেই সময়ে পাওয়া যাবে না। তবে মাহিশ থিকশানা, ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গ, মাথিশা পাথিরানা এবং দুষ্মন্ত চামিরা পুরো আইপিএলেই খেলবেন।