ঝুলনের অভাব বুঝতে পারছেন না হরমনপ্রীতরা। ফাইল ছবি।
শ্রীলঙ্কাকে দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচে ১০ উইকেটে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করল ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল। প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কার মহিলা দল করে ১৭৩ রান। জবাবে ২৫.৪ ওভারেই ১৭৪ রান তুলে নেন ভারতের দুই ওপেনার।
জয়ের আনন্দের মধ্যেও নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করলেন মেঘনা সিংহ। ২৮ বছরের জোরে বোলার সাফ জানিয়ে দিলেন, তাঁরা ঝুলন গোস্বামীর মতো অভিজ্ঞ বোলারের অভাব অনুভব একদমই করছেন না। সিরিজ জেতার পরেই মেঘনা বলেছেন, ‘‘দলের সদস্যরা সকলে নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিচ্ছি। তাই ঝুলনের মতো অভিজ্ঞ বোলারের অভাব তেমন বোঝা যাচ্ছে না। আমাদের দলে ওর অবদান প্রচুর। ওর অনুপস্থিতিতেও আমরা বোলাররা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করতে পারি।’’
তবে কি মিতালি রাজ অবসর নেওয়ার পর আরেক প্রাক্তন অধিনায়ক ঝুলনকেও আর দলে চাইছেন না হরমনপ্রীত কাউররা। অভিজ্ঞ সিনিয়রদের বাদ দিয়ে নিজের পছন্দের দল গড়তে চাইছেন হরমন। নিজে মুখে না বললেও মেঘনার মুখে ঝুলন সংক্রান্ত মন্তব্য ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। হরমনপ্রীত নিজেও ম্যাচের পর বোলারদের প্রশংসা করেছেন।
ওপেনিং জুটি নিয়েও চিন্তা ছিল হরমনপ্রীতের। বড় জুটি তৈরি করতে পারছিলেন না স্মৃতি মান্ধানা এবং শেফালি বর্মা। রান পেলেও বড় রান পাচ্ছিলেন না কেউই। তাঁদের অনবদ্য ওপেনিং জুটিতেই ১০ উইকেটে জয় পেল ভারত। মাত্র ৬ রানের জন্য শতরান পূর্ণ করতে পারলেন না মান্ধানা। ৯৪ রানে অপরাজিত থাকলেন তিনি। উইকেটের অন্য প্রান্তে শেফালি অপরাজিত থাকলেন ৭১ রানে।
সোমবার আগ্রাসী মেজাজে শুরু করেছিলেন দুই ওপেনারই। মান্ধানার ৮৩ বলের ইনিংসটি সাজানো ১১টি চার এবং ১টি ছয় দিয়ে। শেফালি ৭১ রান করতে খরচ করলেন ৭১ বল। মারলেন ৪টি চার, ১টি ছয়। শ্রীলঙ্কার কোনও বোলারকেই রেয়াত করেননি তাঁরা।
ব্যাটারদের আগে দাপট দেখান ভারতের বোলাররাও। শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের কখনই স্বচ্ছন্দ দেখায়নি। রেণুকা সিংহ মাত্র ২৮ রান খরচ করে ৪ উইকেট নিলেন। শ্রীলঙ্কার প্রথম চার ব্যাটারের তিন জনকেই সাজঘরে ফিরিয়ে ভারতকে প্রথম থেকেই চালকের আসনে বসিয়ে দেন এই জোরে বোলার। দু’টি করে উইকেট পেয়েছেন মেঘনা সিংহ এবং দীপ্তি শর্মা।
ওপেনাররা রান পাওয়ায় ম্যাচের পর স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা বড় জুটি কথা বলছিলাম। শেষ পর্যন্ত সেটা হল। ব্যাটারদের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। এমন ইনিংস দেখতে দারুণ লাগে।’’ হরমনপ্রীত খুশি বোলারদের পারফরম্যান্স নিয়েও। প্রথম থেকে ধারাবাহিক ভাবে উইকেট তুলতে পারা কাজ সহজ করেছে বলে জানিয়েছেন।
৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছেন রেণুকা। নিজের পারফরম্যান্সে তিনি খুশি। রেণুকা বলেছেন, ‘‘নিজের শক্তির জায়গাগুলোতেই গুরুত্ব দিয়েছি অনুশীলনে। সঠিক লেংথে বল করেও বৈচিত্র আনার চেষ্টা করেছি। এই ম্যাচের উইকেট বুঝেই প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেটা আমরা কাজে লাগাতে পেরেছি। আমরা কেউ অতিরিক্ত কিছু করার চেষ্টা করছি না।’’