David Warner

দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ় শেষে হেস্তনেস্ত চান ওয়ার্নার, কর্তাদের উপর কেন চটেছেন তিনি?

মানসিক অস্থিরতার মধ্যে রয়েছেন ওয়ার্নার। যা প্রভাব ফেলছে তাঁর পারফরম্যান্সেও। এই কঠিন সময়ে পরিবার, সতীর্থ, বন্ধুদের পাশে পেলেও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ভূমিকায় তিনি হতাশ।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:০১
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট কর্তাদের আচরণে খুশি নন ওয়ার্নার।

অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট কর্তাদের আচরণে খুশি নন ওয়ার্নার। ছবি: টুইটার।

নেতৃত্ব নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন ডেভিড ওয়ার্নার। অ্যারন ফিঞ্চ এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর তাঁকে নেতৃত্বের জন্য ভাবছেন না অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট কর্তারা। ওয়ার্নারের দাবি, নেতৃত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা খারাপ প্রভাব ফেলছে পারফরম্যান্সে।

তাঁর মতোই বল বিকৃতির ঘটনায় অভিযুক্ত এবং নেতৃত্ব থেকে নির্বাসিত হওয়া স্টিভ স্মিথকে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে প্যাট কামিন্সের অনুপস্থিতিতে। তবু ওয়ার্নারকে অধিনায়ক করার বিষয় এখনও কিছু বলেনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। এই অনিশ্চতায় তাঁর পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলছে বলে দাবি করেছেন ওয়ার্নার। বাঁহাতি ব্যাটার বলেছেন, ‘‘পার্‌থ টেস্টের আগে আমার মানসিক স্বাস্থ্য ১০০ শতাংশ ঠিক ছিল না। এ ভাবে খেললে ভাল পারফরম্যান্স করা কঠিন। অস্থিরতার মধ্যেই ভাল পারফর্ম করতে চাই। এটাই এখন আমার কাছে চ্যালেঞ্জ।’’ পার্‌থ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে তিন রান এবং দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য করেন ওয়ার্নার।

Advertisement

তিনি বলেছেন, ‘‘আমি নিজের মতো থাকতে পারলে নিজের মতো সব কিছু সাজিয়ে নিতে পারতাম। কিন্তু ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দিক থেকে কোনও সমর্থন পাচ্ছি না। আমার সতীর্থ এবং দলের অন্যরা অসাধারণ। আমার পরিবার এবং বন্ধুদের কথাও বলব। সকলেই কঠিন সময়ে আমার পাশে রয়েছে।’’ আরও বলেছেন, ‘‘গত ফেব্রুয়ারিতেই আমরা বিষয়টা জানতে পেরেছিলাম। কিন্তু কী হচ্ছে আমরা কেউই জানি না। একমাত্র ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াই উত্তর দিতে পারবে। জানতে চাইলেও ওরা উত্তর দেবে না। ওরা অবশ্য কাউকেই কোনও উত্তর দেয় না।’’

বর্তমান পরিস্থিতি তাঁকে প্রায় কোণঠাসা করে দিয়ে বলেও জানিয়েছেন ওয়ার্নার। বলেছেন, ‘‘দেওয়ালে আমার পিঠ ঠেকে গিয়েছে। যদিও লড়াই আমার ডিএনএ-তে রয়েছে। হাসিমুখেই ফিরে আসব আমি। যে কোনও বিরোধিতার মুখোমুখি হতে রাজি আমি।’’ এই অনিশ্চয়তা নিয়ে চলতে চাইছেন না ওয়ার্নার। বলেছেন, ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ় শেষ হলে কর্তাদের সঙ্গে কথা বলব। স্বচ্ছ ধারণা নিয়ে চলতে চাই। আপাতত মাথায় শুধু বক্সিং ডে টেস্ট রয়েছে।’’

২০১৮ সালের বল বিকৃতির ঘটনায় জড়িত থাকার জন্য ওয়ার্নার এবং স্মিথকে নেতৃত্ব থেকে নির্বাসিত করেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ায় কোনও ধরনের ক্রিকেটে আর কখনও এই দুই ক্রিকেটার নেতৃত্ব দিতে পারবেন না বলে জানানো হয়। সে সময় অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ছিলেন স্মিথ এবং সহ-অধিনায়ক ছিলেন ওয়ার্নার। সম্প্রতি নিয়ম শিথিল করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। আজীবন শাস্তির ক্ষেত্রে এখন শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কাছে আবেদন করতে পারেন ক্রিকেটাররা। যে সুযোগ এত দিন পেতেন না অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা।

ফিঞ্চ এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর পরবর্তী অধিনায়ক নিয়ে সমস্যায় পড়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তখন দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন ওয়ার্নার। ফিঞ্চও পরবর্তী অধিনায়ক হিসাবে ওয়ার্নারকে দেখার ইচ্ছার কথা জানান। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটারদের অনেকেই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ওয়ার্নারকে অধিনায়ক হিসাবে দেখতে চান। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও দীর্ঘ দিনের নিয়ম পরিবর্তন করায় মনে হয়েছিল ওয়ার্নারের নেতৃত্ব পাওয়া সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু ওয়ার্নারকে অধিনায়ক করার কোনও ইঙ্গিত এখনও দেননি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কর্তারা।

আরও পড়ুন
Advertisement