Mohammed Shami

স্বপ্নপূরণ শামির, ভাষা হারিয়েছেন উচ্ছ্বসিত ‘অর্জুন’, প্রিয় লালাকে অভিনন্দন কোহলির

২০২৩ সালে ভারতীয় দলের অনবদ্য পারফরম্যান্সের জন্য অর্জুন পুরস্কার পেলেন শামি। দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্রীড়া সম্মান পেয়ে উচ্ছ্বসিত বাংলার জোরে বোলার সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:০৮
picture of Mohammed Shami

অর্জুন পুরস্কার হাতে মহম্মদ শামি। ছবি: পিটিআই।

ক্রিকেটে বিশেষ অবদানের জন্য অর্জুন পুরস্কার পেলেন বাংলার জোরে বোলার মহম্মদ শামি। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ক্রীড়াক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান পেয়ে উচ্ছ্বাস গোপন করেননি গত বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।

Advertisement

গোড়ালির চোটের জন্য বিশ্বকাপের পর আর খেলতে পারেননি শামি। কবে মাঠে ফিরতে পারবেন, তা-ও নিশ্চিত নয়। তবে গত এক বছরে তাঁর অনবদ্য পারফরম্যান্স স্বীকৃতি পেল। অর্জুন পুরস্কার পাওয়ার পর পুরস্কৃত হওয়ার ভিডিয়ো শামি নিজেই ক্রিকেটপ্রেমীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। সঙ্গে সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘আজ ভীষণ গর্বিত লাগছে। কারণ মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমাকে অর্জুন পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করেছেন। আমি তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যাঁরা আমাকে এই পর্যন্ত পৌঁছতে সাহায্য করেছেন। ধন্যবাদ তাঁদের, যাঁরা সব সময় আমার খারাপ এবং ভাল সময় পাশে থেকেছেন, আমাকে সমর্থন করেছেন। আমার সব কোচ, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড, সতীর্থদের, পরিবারের সকলকে, ক্রিকেটপ্রেমীদের ধন্যবাদ। সবাই আমার কঠোর পরিশ্রমকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। সব সময় নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি আমার দেশকে গর্বিত করার জন্য। আবার সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। অন্য যাঁরা অর্জুন পুরস্কার পেলেন, তাঁদের অভিনন্দন।’’ সমাজমাধ্যমে শামিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অসংখ্য ক্রিকেটপ্রেমী। অভিনন্দন জানিয়ে বিরাট কোহলি লিখেছেন, ‘‘মুবারক হো লালা’’ (ভারতীয় দলের সতীর্থেরা শামিকে ডাকেন লালা নামে)।

আগে শামি বলেছিলেন, ‘‘এই পুরস্কার আমার স্বপ্ন ছিল। জীবনে অনেকেই এই পুরস্কার জিততে পারেন না। এই পুরস্কারের জন্য আমাকে মনোনীত করার জন্য ভীষণ খুশি। এই পুরস্কার পাওয়া আমার কাছে স্বপ্ন সফল হওয়ার মতো। আগে অনেককে এই পুরস্কার পেতে দেখেছি।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘এই পুরস্কারই আমার জীবনের সর্বোচ্চ প্রাপ্তি। আমার সব থেকে বড় সাফল্য। অনুভূতি বলে বোঝাতে পারব না। আমি ক্রিকেট ভালবাসি। যখন যা করেছি, সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। নিজের স্বপ্নকে তাড়া করার জন্য পরিবার থেকে যে সাহায্য এবং সমর্থন পেয়েছি, তা অসাধারণ। আমরোহা থেকে ভারতীয় দলের সাজঘরে পৌঁছনোর যাত্রাপথ ব্যাখ্যা করতে পারব না। ক্রিকেট নিয়ে আবেগ ছিলই। সব সময় দেশের জন্য যতটা সম্ভব ভাল খেলার চেষ্টা করেছি।’’

বিশ্বকাপের পর ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলার হয়ে খেলার কারণ হিসাবে উত্তরপ্রদেশে বঞ্চনার কথা বলেছিলেন শামি। কলকাতা ময়দানের ক্লাব ক্রিকেট থেকে শুরু করে ভারতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন নিজের দক্ষতায়। যে দক্ষতা বিশ্বের তাবড় ব্যাটারদের রক্ষণে ফাটল ধরিয়েছে। শামিকে করে তুলেছে বিশ্বের অন্যতম সেরা জোরে বোলার।

আরও পড়ুন
Advertisement