মিকি আর্থারদের আর রাখছে না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। —ফাইল চিত্র।
এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপের পর অস্ট্রেলিয়া সফরেও ব্যর্থ পাকিস্তান। টানা ব্যর্থতায় বিরক্ত পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কর্তারা আস্থা হারিয়েছেন বিদেশি কোচদের উপর। নিউ জ়িল্যান্ড সফর শুরুর আগেই ইস্তফা দিয়েছিলেন গ্র্যান্ট ব্র্যাডবার্ন। অন্য দুই বিদেশি কোচ মিকি আর্থার এবং অ্যান্দ্রু পুটিককেও আর রাখছে না পিসিবি।
তিন বিদেশি কোচের সঙ্গে কথা বলছেন পিসিবি চেয়ারম্যান জ়াকা আশরফ এবং চিফ অপারেটিং অফিসার সলমন নাসির। তাঁদের আর প্রয়োজন নেই বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন পাক কর্তারা। এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর পাকিস্তানের বিদেশি কোচেরা সবাই লম্বা ছুটিতে চলে যান। অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে প্রস্তুতি শিবিরেও তাঁদের ঠিক মতো পাওয়া যায়নি। ব্যর্থতার পরেও তাঁদের ছুটিতে যাওয়া ভাল ভাবে দেখছেন না আশরফেরা। তা ছাড়া মহম্মদ হাফিজকে পাকিস্তান দলের ডিরেক্টর করার পর তিন বিদেশি কোচকে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে পাঠাতে চেয়েছিলেন পিসিবি কর্তারা। তাঁরা কেউ অ্যাকাডেমিতে যেতে রাজি হননি। কারণ চুক্তিতে অ্যাকাডেমিতে কোচিং করাতে হবে, তা বলা ছিল না।
আর্থার আগে থেকে যুক্ত ছিলেন ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্লাব ডার্বিশায়ারের সঙ্গে। তিনি পাকিস্তানে থাকতে প্রথম থেকেই রাজি ছিলেন না। পাক কর্তাদের সঙ্গে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে কাজ করা নিয়ে মতান্তর হয় ব্র্যাডবার্ন এবং পুটিকেরও। তাঁরাও নতুন কাজ খুঁজতে শুরু করেন। ব্র্যাডবার্ন কাউন্টি ক্লাব গ্ল্যামারগনের কোচ হিসাবে যোগ দিচ্ছেন। ব্যাটিং কোচ পুটিক চুক্তিবদ্ধ হতে চলেছেন আফগানিস্তানের সঙ্গে। তার পরেই তিন বিদেশি কোচের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত নেন পাক কর্তারা। ক্ষতিপূরণ হিসাবে তিন জনকে চুক্তির বাকি মাসগুলির বেতন দিয়ে দেওয়ার কথা জানানো হয়।
অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ়ে শোচনীয় ফলের পর আর দেরি করতে চাননি পাক ক্রিকেট কর্তারা। তিন বিদেশি কোচকে বিদায় জানানোর প্রস্তুতি শিরি করে দেন। বিপুল অর্থ ব্যয় করে বিদেশি কোচ রেখেও প্রত্যাশিত সাফল্য না আসায়, দেশীয় কোচদের উপরই আস্থা রাখতে চাইছেন পিসিবি কর্তারা।