Chris Gayle

কার জন্য কেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অধরা দ্বিশতরান, ন’বছর পর মুখ খুললেন গেল

২০১৩ সালের আইপিএলে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে অপরাজিত ১৭৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন গেল। সেই ম্যাচে দ্বিশতরান করার সুযোগ ছিল তাঁর সামনে। অথচ এক সতীর্থের জন্য হাতছাড়া হয়েছিল সুযোগ।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২০:৩৭
picture of Chris Gayle

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্বিশতরান পূর্ণ করতে না পারার আক্ষেপ রয়েছে গেলের। ছবি: টুইটার।

চাইলে হয়তো পারতেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম দ্বিশতরানের মালিক হতে। কিন্তু এবি ডি’ভিলিয়ার্সের জন্য গড়তে পারেননি নজির। হঠাৎই সুযোগ হারানো নিয়ে মুখ খুললেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের প্রাক্তন ব্যাটার ক্রিস গেল।

২০১৩ সালের আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে ১৭৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন গেল। সেই ম্যাচেই দ্বিশতরান পূর্ণ করতে না পারার আক্ষেপ রয়েছে তাঁর। গেলের ১৭৫ রানের সেই অনবদ্য ইনিংসই এখনও পর্যন্ত ২০ ওভারের ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।

Advertisement

ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার রবীন উত্থাপাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই ইনিংস নিয়ে কথা বলেছেন গেল। তিনি মজা করে বলেছেন, ‘‘ডি’ভিলিয়ার্স ছিল আমার সঙ্গে উইকেটে। ওকে ব্যাট করার সুযোগ দেওয়ার জন্যই আমার দ্বিশতরান পূর্ণ হয়নি সেই ম্যাচে।’’

আক্ষেপ থাকলেও প্রাক্তন সতীর্থের প্রশংসাই করেছেন গেল। তিনি বলেছেন, ‘‘ডি’ভিলিয়ার্স শেষ দিকে ব্যাট করতে নেমে ছিল। মনে হয় মাত্র ৮ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলেছিল। আমি ওকে ব্যাট করার সুযোগ না দিলে ২১৫ রান মতো করতে পারতাম। কিন্তু সুযোগ না দিয়ে উপায় ছিল না। দারুণ আগ্রাসী ব্যাটিং করছিল। সে সময় ওকেই বেশি খেলার সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল।’’

আইপিএলের সেই ম্যাচে গেলের মারা বল উড়ে গিয়ে গ্যালারিতে এক কিশোরীর নাকে লাগে। তার নাক ভেঙে গিয়েছিল। পরে হাসপাতালে কিশোরী ক্রিকেটপ্রেমীকে দেখতে গিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের প্রাক্তন ব্যাটার। তা নিয়ে বলেছেন, ‘‘বলটা দেওয়ালে ধাক্কা খাওয়ার পর মেয়েটিকে আঘাত করেছিল। আমি ম্যাচের পর হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলাম। তখনও ওর জামায় রক্ত লেগে ছিল। অথচ মেয়েটি আমাকে বলেছিল, ‘আপনি চিন্তা করবেন না। এমন ছয় আরও মারুন।’ সেই ঘটনাটা আমার মন ছুঁয়ে গিয়েছিল। মেয়েটির কথা আমার মন হালকা করেছিল। পরের ম্যাচে অনেক দর্শকের হাতে প্ল্যাকার্ড দেখেছিলাম। লেখা ছিল, ‘ছয় মেরে আমার নাক ভেঙে দিন।’ ওরাও চেয়েছিল, আমি হাসপাতালে দেখতে যাই। আসলে সকলে আমার সঙ্গে দেখা করতে চাইছিল।’’

আরও পড়ুন
Advertisement