ইডেন গার্ডেন। —ফাইল চিত্র।
দুর্গা পুজোর সময় এক দিনের বিশ্বকাপ। ঢাকের আওয়াজের সঙ্গেই শোনা যাবে ডিউস বল আর উইলো কাঠের ব্যাটের সংঘর্ষের শব্দ। দুই শব্দের মধ্যেই রয়েছে আলাদা মিষ্টতা। আপাত ভাবে এই দুই শব্দের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই। যদিও তাদের সহাবস্থান তেমন দেখা যায় না। এ বার সেই সুযোগ পেতে চলেছেন বাঙালি ক্রিকেটপ্রেমীরা।
মহালয়া ১৪ অক্টোবর। আর বিশ্বকাপ শুরু হয়ে যাবে ৫ অক্টোবর থেকে। দ্বিতীয় সেমিফাইনাল-সহ বিশ্বকাপের পাঁচটি ম্যাচ হবে ইডেনে। কলকাতায় বিশ্বকাপের খেলা রয়েছে ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ-কোয়ালিফায়ার ১, ৩১ অক্টোবর পাকিস্তান-বাংলাদেশ, ৫ নভেম্বর ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা, ১২ নভেম্বর ইংল্যান্ড-পাকিস্তান, ১৬ নভেম্বর দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। অর্থাৎ, দুর্গা পুজো থেকে ভাই ফোঁটা— উৎসবের গোটা মরসুম জুড়েই হবে বিশ্বকাপের খেলাগুলি। এই সময় ইডেনে বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতার ম্যাচ আয়োজন করা কি সম্ভব? পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা যাবে? ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে প্রশ্ন তৈরি হওয়া স্বাভাবিক।
বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী সিএবি কর্তারা। তাঁদের আশা, কলকাতা পুলিশের সহযোগিতা পেতে কোনও সমস্যা হবে না। সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘আমরা গঙ্গাসাগর মেলার সময়ও ইডেনে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করেছি। কোনও সমস্যা হয়নি। পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা ছিল। আশা করছি পুজোর মরসুমেও বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন করতে সমস্যা হবে না।’’ কেমন থাকবে টিকিটের দাম? সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীরা কি পারবেন গ্যালারিতে বলে বিশ্বকাপের লড়াই উপভোগ করতে? সিএবি সভাপতি বলেছেন, ‘‘টিকিটের দাম কত হবে আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়। এটা সম্পূর্ণ আইসিসির ব্যাপার। অ্যাপেক্স কমিটির বৈঠকে আমরা অনুরোধ করব সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে টিকিটের দাম রাখতে। মনে হয় সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীদের খেলা দেখতে অসুবিধা হবে না।’’
একটি সেমিফাইনাল-সহ এক দিনের বিশ্বকাপের পাঁচটি ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব ইডেন পাওয়ায় খুশি প্রাক্তন সভাপতি অভিষেক ডালমিয়াও। তিনি বলেছেন, ‘‘ইডেনে বিশ্বকাপের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ দেওয়ায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এবং বোর্ড সচিব জয় শাহকে ধন্যবাদ। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ ইডেনে হবে। একটি সেমিফাইনাল ম্যাচও হবে।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘’১০ বছর আগে ২০১৩ সালের জুন মাসে লন্ডনে আইসিসির বৈঠকে চূড়ান্ত হয়েছিল ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ভারত। সেই বৈঠকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন প্রয়াত জগমোহন ডালমিয়া। তাই আমি একটু স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ছি।’’ উল্লেখ্য, অভিষেক আইসিসি এবং বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি জগমোহন ডালমিয়ার পুত্র।