অনেকেই এই ঘটনায় সমালোচনা শুরু করলেও বাবরের পাশে দাঁড়ানো সমর্থকের সংখ্যা কম নয়। ফাইল ছবি
দলের ব্যর্থতার কারণে অধিনায়ক হিসাবে এমনিতেই তাঁর জায়গা টলোমলো। এর মধ্যেই নতুন বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন বাবর আজম। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে এক মহিলার সঙ্গে তাঁর গোপন চ্যাট এবং ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে ছাপার অযোগ্য ভাষায় বাবরকে চ্যাট করতে দেখা যাচ্ছে। নতুন এই বিতর্কে আচমকাই কিছুটা চাপে পড়ে গেলেন বাবর। সমাজমাধ্যমে তাঁর সমালোচনা শুরু হয়েছে। তবে পাশেও দাঁড়িয়েছেন অনেকে।
রবিবার রাত থেকে বাবরের ব্যক্তিগত ছবি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। পোস্ট করা হয় কিছু ভিডিয়োও। সেখানে বাবরের সঙ্গে এক মহিলাকে যৌন কথাবার্তা বলতে দেখা গিয়েছে। অনেকে আবার বলেছেন, সেটি পাকিস্তানের এক ক্রিকেটারের বান্ধবী। তাঁকে বাবর বলেছেন, যদি এই ধরনের কথাবার্তা তিনি চালিয়ে যান, তা হলে পাকিস্তানের ওই ক্রিকেটারকে জাতীয় দল থেকে কখনও বাদ দেওয়া হবে না। সেই ভিডিয়ো বা ছবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
অনেকেই এই ঘটনায় সমালোচনা শুরু করলেও বাবরের পাশে দাঁড়ানো সমর্থকের সংখ্যা কম নয়। তাঁদের দাবি, পাক অধিনায়কের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁর বিরোধীরা এ ধরনের কাজ করছেন। প্রসঙ্গত, অতীতে হামিজা মুখতার নামে এক মহিলাকে নির্যাতন করার অপরাধে নাম জড়িয়েছিল বাবরের। বাবরের আচরণ নিয়ে থানায় অভিযোগও জানান ওই মহিলা। তিনি অভিযোগ করেছেন, বাবর যৌন নির্যাতন করেছেন এবং জোর করে গর্ভপাত করাতে বাধ্য করেছেন।
Babar Azam sexting with gf of another Pakistan cricketer and promising her that her bf won’t be out of team if she keeps sexting with him is just 👎🏿
— Dr Nimo Yadav (@niiravmodi) January 15, 2023
I hope allah is watching all this .
pic.twitter.com/nlKEp55dUB
কিছু দিন আগে এক সাংবাদিক বৈঠকে বাবরের আচরণ নিয়ে সমালোচনা হয়। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে দু’টি টেস্টই কোনও রকমে ড্র করার পরে বাবরকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনি বড় ব্যাটার। কিন্তু সচিন তেন্ডুলকর, ব্রায়ান লারা, সঈদ আনোয়ারের মতো বড় ব্যাটাররা বড় অধিনায়ক হতে পারেননি। ঘরের মাঠে ৮ টেস্টে একটাও জিততে পারিনি আমরা। আপনার কি মনে হয় না এ বার আপনার টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার সময় এসেছে? তা হলে ব্যাটিংয়ে আরও বেশি মন দিতে পারবেন আপনি।’’
সাংবাদিকের এই প্রশ্ন শুনেই রেগে যান বাবর। তিনি প্রশ্ন ঘুরিয়ে দেন। বাবর বলেন, ‘‘আমরা এখন সাদা বলের ক্রিকেট খেলব। টেস্ট শেষ হয়ে গিয়েছে। যদি সাদা বলের ক্রিকেট নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকে তা হলে করুন।’’ বাবরের কথা থেকে স্পষ্ট, টেস্ট নিয়ে প্রশ্নে বিব্রত হচ্ছেন তিনি। তাই প্রশ্নের জবাব দিতে চাইছেন না। তবে তাতে বিতর্ক কমছে না।
বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। ২০২২ সালের শুরু থেকে পাকিস্তান ১০টি টেস্ট খেলেছে। তার মধ্যে মাত্র একটি টেস্ট জিতেছে তারা। ২০২২ সালের জুলাই মাসে গলে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিলেন বাবররা। বাকি ৯টি টেস্টের মধ্যে ৫টিতে হেরেছে পাকিস্তান। ড্র হয়েছে ৪টি টেস্ট। তার মধ্যে দেশের মাটিতে ৮টি টেস্ট খেলেছে পাকিস্তান। একটিতেও জিততে পারেনি তারা। হেরেছে ৪টি। ড্র করেছে ৪টি। এই পরিসংখ্যান আরও খারাপ হতে পারত। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে দু’টি টেস্টই কোনও রকমে ড্র করেছে পাকিস্তান।