পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অনুমতি নিয়ে খেলছেন বাবররা। —ফাইল ছবি।
শেষ পাকিস্তান সুপার লিগ। এখন কোনও আন্তর্জাতিক সূচি নেই পাকিস্তানের। এই সুযোগে খেপ খেলতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের ক্রিকেট অধিনায়ক বাবর আজ়ম। খেলবেন সহ-অধিনায়ক শাদাব খানকেও। তাঁদের এই প্রতিযোগিতায় খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কারণ, প্রতিযোগিতার আয়োজক ম্যাচ গড়াপেটায় দোষী সাব্যস্ত এক প্রাক্তন ক্রিকেটার।
রমজান মাসে একটি বিশেষ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন সলমন বাট। ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে জেল খাটা প্রাক্তন অধিনায়কের প্রতিযোগিতায় বাবর, শাদাব-সহ পাকিস্তানের প্রথম সারির বেশ কিছু ক্রিকেটারকে খেলতে দেখা যাবে। আট দলের প্রতিযোগিতায় উমর আকমল, ইহসানুল্লাহ, আজ়ম খান, উসমান কাদির, উসামা মির, এহসান আলি, আবিদ আলিদের মতো ক্রিকেটাররা খেলছেন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে বাটের আয়োজিত প্রতিযোগিতায় খেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে ক্রিকেটারদের।
এই ঘটনায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ভারত এবং পাকিস্তানের ক্রিকেট সংস্কৃতির ছবি। ভারতীয় বোর্ড বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের বিদেশি লিগে খেলারও অনুমতি দেয় না। কেউ বিদেশি লিগে খেলতে চাইলে, তাঁকে ভারতীয় ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে হয়। ক্রিকেটারদের ম্যাচের সংখ্যা নিয়েও নির্দিষ্ট নীতি রয়েছে ভারতীয় বোর্ডের। অথচ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের খেপ খেলার অনুমতিও দিচ্ছে। তাও সেই প্রতিযোগিতার প্রধান আয়োজক গড়াপেটায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া এক প্রাক্তন ক্রিকেটার।
দেশের সেরা ক্রিকেটারদের পেয়ে অবশ্য খুশি পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক। বাট বলেছেন, ‘‘লাহোরে প্রথম এই ধরনের প্রতিযোগিতা হচ্ছে। এই রকম প্রতিযোগিতা থেকে অনেক নতুন প্রতিভা উঠে আসে।’’ তিনি জানিয়েছেন, প্রতিটি দলে দু’জন করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার থাকবেন। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের জন্য পুরস্কার হিসাবে থাকবে ৩০ হাজার পাকিস্তানি টাকা (ভারতীয় মূল্যে প্রায় ৯ হাজার টাকা)।
২০১০ সালে লন্ডনের হোটেলে ম্যাচের তথ্য সরবরাহ করার জন্য জুয়াড়িদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন বাট। সেই ঘটনায় তাঁকে হাজতবাসের নির্দেশ দিয়েছিল লন্ডনের আদালত। ২০০৩ সাল থেকে সাত বছর পাকিস্তানের হয়ে খেলেছিলেন বাঁহাতি ওপেনিং ব্যাটার। ২০০৮ সালে আইপিএল খেলেছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর কিছু দিন পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেললেও জাতীয় দলে আর সুযোগ পাননি বাট। খেলেছেন পাকিস্তান সুপার লিগেও।
ম্যাচ গড়াপেটায় জড়িত এবং সেই দায়ে জেল খাটা এক প্রাক্তন ক্রিকেটার আয়োজিত প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের প্রথম সারির এক ঝাঁক ক্রিকেটারের খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের ভূমিকা নিয়েও।