চোট পাওয়ার পরে ক্রাচ নিয়ে হাঁটছেন নেথান লায়ন (ডান দিকে)। পাশে ইংল্যান্ডের কোচ ব্রেন্ডন ম্য়াকালাম। ছবি: রয়টার্স
অ্যাশেজে ২-০ এগিয়ে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু তার মাঝেই খারাপ খবর প্যাট কামিন্সদের জন্য। চোটের কারণে বাকি সিরিজ়ে তাঁরা পাবেন না দলের স্পিনার নেথান লায়নকে। দ্বিতীয় টেস্ট চলাকালীন ডান পায়ের পেশিতে চোট পেয়েছিলেন লায়ন। সেই চোটেই বাদ পড়তে হয়েছে তাঁকে। লায়ন যে বাকি সিরিজ়ে খেলতে পারবেন না সে কথা জানিয়েছেন অধিনায়ক কামিন্স।
লর্ডসে ইংল্যান্ডকে হারানোর পরে সাংবাদিক বৈঠকে কামিন্স বলেন, ‘‘আমি চাইনি চোট নিয়ে লায়ন ব্যাট করুক। কিন্তু ও কারও কথা শোনেনি। দেশের জন্য নেমে পড়েছিল। লায়ন এক কথায় অসাধারণ। তবে সিরিজ়ের বাকি ম্যাচে ওকে আর পাব না আমরা।’’
দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন ফিল্ডিং করার সময় একটি ক্যাচ ধরতে গিয়ে চোট পান লায়ন। তাঁর পায়ের পেশিতে টান ধরে। তার পরে আর মাঠে থাকেননি তিনি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামেন লায়ন। খোঁড়াতে খোঁড়াতে কোনও রকমে ব্যাট করছিলেন তিনি। চার রান করে আউট হয়ে লায়ন যখন ফিরছেন তখন অস্ট্রেলিয়ার সমর্থকেরা দাঁড়িয়ে হাততালি দেন। পরে আর বল করতে নামেননি তিনি।
২০১৩ সালের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টানা ১০০টি টেস্ট খেলেছেন লায়ন। লর্ডসেই সেই কীর্তি করেছেন তিনি। কিন্তু এ বার দলের বাইরে থাকতেই হবে তাঁকে। লায়নের পরিবর্তে হেডিংলেতে তৃতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়া দলে দেখা যেতে পারে স্পিনার টড মারফিকে।
চোট নিয়ে ব্যাট করার জন্য লায়নকে খোঁচা মেরেছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেন। ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় তিনি বলেন, ‘‘আহত লায়নকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। লায়নের মাথায় বাউন্সার লাগলে কনকাসন সাব বা পরিবর্ত ক্রিকেটারকে ব্যাট করতে নামানোর সুযোগ পাবে অস্ট্রেলিয়া। সে জন্যই বোধহয় লায়নকে নামানো হয়েছে।’’
পিটারসেনের এই কথা ভাল ভাবে নেননি লায়ন। ২০১৪ সালে মাথায় বাউন্সার লেগে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার ফিলিপ হিউজের মৃত্যুর ঘটনা উল্লেখ করে লায়ন পাল্টা বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেলছি। চোট-আঘাত খেলারই অংশ। আমি একটা মন্তব্য শুনেছি। বলা হয়েছে, আমাকে মাঠে নামানো হয়েছে মাথায় আঘাত পাওয়ার জন্য। আমি এই ধরনের মন্তব্যের বিরোধী। মাথায় আঘাতের কারণে আমি এক জন বন্ধুকে হারিয়েছি। তাই কথাটা আমার বেশ খারাপ লেগেছে। কেউ সৎ হলে এমন বলতে পারে না।’’