—প্রতীকী চিত্র।
ও’পারের পরিস্থিতি যতই উত্তপ্ত হয়েছে, ততই পালে হাওয়া লেগেছে রাজ্য বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানে। দলের নেতারাও কার্যত সে কথা স্বীকার করে নিচ্ছেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অক্টোবরের শেষে রাজ্যে এসে সদস্য সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন করেছিলেন। প্রথম পর্যায়ে ১৫ ডিসেম্বর এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সদস্য সংগ্রহের কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। দলীয় সূত্রের খবর, প্রথম পর্যায় ছিল ‘গতিহীন’। কিন্তু বাংলাদেশে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার, সংখ্যালঘুদের উপরে নিপীড়নের প্রতিবাদে এ রাজ্যে কর্মসূচি নেয় বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ‘হিন্দুরা এক হও’ স্লোগান তুলে ময়দানে নামেন। বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের বিশ্লেষণ, এই পরিস্থিতি হিন্দুদের একাংশকে প্রভাবিত করেছে। বিশেষত, সীমান্তবর্তী নদিয়া উত্তর ও দক্ষিণ, বালুরঘাট, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের মতো বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সদস্য সংগ্রহে প্রথম সারিতে এসেছে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অবশ্য বলেছেন, “বাংলাদেশের ঘটনার সরাসরি প্রভাব সদস্য সংগ্রহে পড়েছে কি না, সেই তথ্য আমার কাছে নেই। তবে এটা ঠিক যে, বাংলাদেশের ঘটনার পরে এ’পারের হিন্দুরা নিজেদের ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে অনেক বেশি শঙ্কিত ও সচেতন হয়েছেন। এই জায়গা থেকেই একত্রিত হওয়ার একটা চেষ্টা হয়েছে।”
কর্মসূচির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “এক কোটি সদস্য-সংখ্যা তো হবেই। এটা চলমান প্রক্রিয়া।”