ওয়ার্নারকে কি নেতৃত্বের দায়িত্ব দেবে অস্ট্রেলিয়া? ছবি: টুইটার।
অ্যারন ফিঞ্চ নিজের উত্তরসূরি হিসাবে বেছে নিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নারকে। কিন্তু ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কি তাঁর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে? তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত একাংশ বলছেন, এই মুহূর্তে এক দিনের ক্রিকেটে অধিনায়ক হওয়ার সেরা লোক ওয়ার্নারই।
বল বিকৃতির শাস্তি এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন ওয়ার্নার। এক বছরের নির্বাসন কাটিয়ে জাতীয় দলে ফিরলেও বাঁহাতি ওপেনিং ব্যাটারের উপর রয়েছে নেতৃত্বের নিষেধাজ্ঞা। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কখনও দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন না প্রাক্তন সহ-অধিনায়ক। ওয়ার্নার নিজে অবশ্য অধিনায়ক হতে রাজি। কিন্তু সেই সুযোগ কি তাঁকে দেবেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট কর্তারা?
এক সাক্ষাৎকারে ওয়ার্নার বলেছেন, ‘‘নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেলে সেটা আমার জন্য দারুণ ব্যাপার হবে। কিন্তু এই বিষয়টা সম্পূর্ণ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার হাতে। আমি শুধু নিজের কাজে মন দিতে চাই। দেশের জন্য যত বেশি সম্ভব রান করাই আমার প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য।’’ আপনাকে কি কেউ ফোন করেছিল? ওয়ার্নার বলেছেন, ‘‘আমার ফোন সব সময় সঙ্গেই থাকে। অতীতে যা হওয়ার হয়েছে। এখন নতুন প্রশাসকরা এসেছেন। কর্তাদের সঙ্গে যে কোনও বিষয়ে কথা বলতে সব সময় রাজি আছি।’’
সূত্রের খবর, সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে চাইছেন না ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কর্তারা। কারণ তাতে ক্রিকেটবিশ্বে ভুল বার্তা যেতে পারে। তাঁরা প্যাট কামিন্সকেই এক দিনের দলের দায়িত্ব দিতে চান। যদিও কামিন্স এর মধ্যেই জানিয়েছেন, তিনি এক দিনের ক্রিকেটে অধিনায়ক হতে আগ্রহী নন। কামিন্সের এই বার্তা ক্রিকেট কর্তাদের সমস্যা বাড়িয়েছে। অন্য দিকে, বেশ কয়েক জন প্রাক্তন ক্রিকেটার ওয়ার্নারকে অধিনায়ক করার দাবি তুলেছেন।
ফিঞ্চ এবং ওয়ার্নার ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলেই পরিচিত ক্রিকেট মহলে। এক দিনের ক্রিকেটে তাঁরা অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সফল ওপেনিং জুটিও। প্রিয় বন্ধু হঠাৎ অবসর ঘোষণা করায় বিস্মিত ওয়ার্নার। তিনি বলেছেন, ‘‘আমাকে আগে কিছুই বলেনি। হঠাৎই জানতে পারি। তবে ওর সিদ্ধান্তকে আমরা সম্মান করি। দলের সকলেই ওর সঙ্গে রয়েছি। সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলতে বেশি ভালবাসে ফিঞ্চ। আমি নিশ্চিত এখন আরও বেশি অনুশীলন করবে। কঠোর পরিশ্রম করবে। নিশ্চয় চাইবে যত বেশি সম্ভব রান করতে।’’
ফিঞ্চ এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ায় নতুন অধিনায়কের খোঁজে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নারের সঙ্গেই নাম উঠে আসছে স্টিভ স্মিথ এবং কামিন্সের। ওয়ার্নারের মতোই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে স্মিথের উপরেও। যদিও গত শ্রীলঙ্কা সফরে তাঁকে টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক করা হয়েছিল। তাই অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটাররা বলছেন, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া আগেই নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে স্মিথের ক্ষেত্রে। তা হলে ওয়ার্নারের ক্ষেত্র কেন সুর নরম করা হবে না?