Sachin Tendulkar

২০ বছর আগের ‘খলনায়ক’ দ্রাবিড় আবার হাজির! সচিনের মতো দ্বিশতরান পেলেন না ব্যাটার

২০০৪ সালে সচিন ১৯৪ রানে ব্যাট করার সময় ইনিংস ডিক্লেয়ার করেছিলেন অধিনায়ক দ্রাবিড়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুলতানের মাঠে দ্বিশতরান পেতে পেতেও পাননি সচিন। সেটাই মনে পড়ল শনিবারের ঘটনায়।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:১৪
২০০৪ সালে সচিন ১৯৪ রানে ব্যাট করার সময় ইনিংস ডিক্লেয়ার করেছিলেন অধিনায়ক দ্রাবিড়।

২০০৪ সালে সচিন ১৯৪ রানে ব্যাট করার সময় ইনিংস ডিক্লেয়ার করেছিলেন অধিনায়ক দ্রাবিড়। —ফাইল চিত্র

জীবনের প্রথম দ্বিশতরান ছিল সময়ের অপেক্ষা। মাত্র ৫ রান করলেই ২০০ করে ফেলতেন উসমান খোয়াজা। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ওপেনারকে সেই কাঙ্ক্ষিত মাইলফলক ছুঁতে দিলেন না অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। মনে করালেন অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড়কে। যিনি সচিন তেন্ডুলকর ১৯৪ রানে ব্যাট করার সময় ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দিয়েছিলেন। একই কাজ করলেন কামিন্স।

দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম অস্ট্রেলিয়া টেস্টে শনিবার ছিল চতুর্থ দিন। একের পর এক সেশন বৃষ্টির জন্য নষ্ট হচ্ছিল। তৃতীয় দিন খেলাই হয়নি। চতুর্থ দিন সকালেও খেলা শুরু করা যাচ্ছিল না বৃষ্টি এবং ভেজা মাঠের কারণে। শেষ পর্যন্ত খেলা শুরু করার মতো পরিস্থিতি হলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। খোয়াজার তখন দ্বিশতরান করতে মাত্র ৫ রান বাকি। এমন অবস্থায় ডিক্লেয়ার করার সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে।

Advertisement

২০০৪ সালে সচিন ১৯৪ রানে ব্যাট করার সময় ইনিংস ডিক্লেয়ার করেছিলেন অধিনায়ক দ্রাবিড়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুলতানের মাঠে দ্বিশতরান পেতে পেতেও পাননি সচিন। সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্রাবিড়কে ভিলেন বানানো হয়েছিল। অনেকেই মনে করেছিলেন দ্রাবিড়ের এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হয়নি। দ্বিশতরানে পৌঁছতে একজন ব্যাটারের যে পরিশ্রম এবং ধৈর্য লাগে, তাতে মাত্র কয়েকটি রানের জন্য অধিনায়ক অপেক্ষা করতে পারতেন।

অস্ট্রেলিয়া সিরিজ় জিতে গিয়েছে। ২-০ এগিয়ে রয়েছে। এমন অবস্থায় শেষ টেস্টে আরও একটু ব্যাট করলে কামিন্সদের কোনও ক্ষতি হত না বলেই মনে করছেন অনেকে। বৃষ্টির কারণে তৃতীয় দিনের খেলা হয়নি। শুক্রবারের শেষে খোয়াজা বলেন, “বৃষ্টির জন্য দ্বিশতরান না পাওয়া খুবই কষ্টের হবে।” কিন্তু তাঁর অধিনায়কই দ্বিশতরান পেতে দিলেন না খোয়াজাকে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এই ম্যাচে শতরান করেছেন স্টিভ স্মিথও। ১০৪ রান করেন তিনি। মার্নাস লাবুশানে ৭৯ রান করেন। ট্রেভিস হেড ৭০ রান করেন। দ্বিতীয় দিনের শেষে অপরাজিত ছিলেন খোয়াজা এবং ম্যাট রেনশ (৫ রানে অপরাজিত)।

দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়েছে। তিনটি উইকেট নিয়েছেন কামিন্স। জস হেজ়লউড নিয়েছেন দু’টি উইকেট। একটি উইকেট নিয়েছেন নেথন লায়ন। ১৪৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এখনও ৩২৬ রানে পিছিয়ে রয়েছে তারা। খায়া জ়োন্ডো করেছেন ৩৯ রান। ৩৫ রান করেছেন টেম্বা বাভুমা। রবিবার টেস্টের শেষ দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার দু’টি ইনিংস শেষ করতে না পারলে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে টেস্ট জেতা কঠিন। তাতে খোয়াজার দ্বিশতরান না পাওয়ার দুঃখ আরও বাড়বে।

আরও পড়ুন
Advertisement