Ashes 2023

অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে ৩১৩ রানে, হাতে ৫ উইকেট, অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টে আশা কমছে স্টোকসদের

অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টও ক্রমশ নিজেদের হাতের মুঠোয় করছে অস্ট্রেলিয়া। সিরিজ়ে সমতা ফেরানোর আশা ধীরে ধীরে কমছে বেন স্টোকসদের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৩ ১৮:০৫
Steve Smith

দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হয়ে ফিরছেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ। ছবি: রয়টার্স

অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টেও দেখা যাচ্ছে প্রথম টেস্টের রিপ্লে। চতুর্থ দিন ইংল্যান্ডের সামনে বড় লক্ষ্য দেওয়ার দিকে এগোচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। এই টেস্ট জয়ের আশাও ক্রমশ কমে যাচ্ছে বেন স্টোকসদের। চতুর্থ দিন মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে অস্ট্রেলিয়ার রান ৫ উইকেটে ২২২। ইংল্যান্ডের থেকে ৩১৩ রান এগিয়ে প্যাট কামিন্সরা।

তৃতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ২ উইকেটে ১৩০। ক্রিজে ছিলেন উসমান খোয়াজা ও স্টিভ স্মিথ। চতুর্থ দিন সকাল থেকে ভাল খেলছিলেন খোয়াজা। তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন স্মিথ। দু’জনে মিলে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগেই অর্ধশতরান করেছিলেন খোয়াজা। তাঁর কাছে সুযোগ ছিল আর একটি শতরান করার। কিন্তু ৭৭ রানের মাথায় স্টুয়ার্ট ব্রড আউট করেন তাঁকে। তার পরেই জশ টাংয়ের বলে আউট হয়ে যান স্মিথ। তিনি করেন ৩৪ রান।

Advertisement

পাঁচ নম্বরে নেমে ট্রাভিস হেড আবার চেষ্টা করেন আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে রান পাননি তিনি। মাত্র সাত রান করে ফেরেন তিনি। পাঁচ উইকেট পড়ার পরে ব্যাট করছেন ক্যামেরন গ্রিন ও অ্যালেক্স ক্যারে। সেই জুটি এখনও ভাঙতে পারেননি ইংল্যান্ডের বোলাররা।

বৃষ্টিতে ওভার নষ্ট হওয়ায় চতুর্থ দিন বেশি খেলা হওয়ার কথা। চতুর্থ দিন দ্বিতীয় সেশনে অস্ট্রেলিয়া যদি ইংল্যান্ডের থেকে ৪০০ রানের বেশি লিড নিয়ে নিয়ে তা হলে কিন্তু সমস্যা বাড়বে স্টোকসদের। দ্বিতীয় সেশনে ইংল্যান্ডের বোলাররা চাইবেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস শেষ করা।

অ্যাশেজ সিরিজ়ে ১-০ এগিয়ে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম টেস্ট জিতেছে তারা। কিন্তু কেন এই সিরিজ়কে অ্যাশেজ বলা হয়? তার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এক ইতিহাস। যা কিছুটা ব্যঙ্গাত্মক। খানিকটা শোকেরও। ১৮৮২ সালে ওভালে আয়োজিত টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার কাছে প্রথম হেরেছিল ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার ফ্রেড স্পফোর্থের অনবদ্য বোলিংয়ের কাছে হারতে হয়েছিল ইংরেজদের। চতুর্থ ইনিংসে ৮৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিততে পারেনি তারা। স্পফোর্থ ৪৪ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন। ০-১ ব্যবধানে সিরিজ় হেরে গিয়েছিল। পরের দিন ইংল্যান্ডের সংবাদপত্র ‘দ্য স্পোর্টিং টাইমস্‌’ তাদের প্রতিবেদনে ক্রিকেট দলের তীব্র সমালোচনা করেছিল। লেখা হয়েছিল, ইংরেজ ক্রিকেটকে চিরস্মরণীয় করে রাখল ওভালের ২৯ আগস্ট, ১৮৮২ তারিখটি। গভীর দুঃখের সঙ্গে বন্ধুরা তা মেনে নিয়েছে। ইংরেজ ক্রিকেটকে ভস্মীভূত করা হয়েছে এবং ছাইগুলো অস্ট্রেলিয়াকে দেওয়া হয়েছে। এর পরের বছর সিরিজ় পুনরুদ্ধার করতে অস্ট্রেলিয়ায় যায় ইংল্যান্ড। সংবাদমাধ্যমের ব্যঙ্গ মনে রেখে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক আইভো ব্লাই বলেছিলেন, তাঁরা অ্যাশেজ পুনরুদ্ধার করতে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছেন।

সেই সময় কয়েক জন অস্ট্রেলীয় মহিলা ব্লাইকে আগের সিরিজ়ে পরাজয় নিয়ে পাল্টা ব্যঙ্গ করে ছাইভর্তি একটি পাত্র দিয়েছিলেন। যাতে ছিল উইকেটের উপরে থাকা বেলের ছাই। তার পর থেকে দু’দেশের টেস্ট সিরিজ় ‘অ্যাশেজ’ বলে পরিচিত হয়। ব্লাই অবশ্য ছাইয়ের সেই আধারটি ব্যক্তিগত উপহার হিসাবে নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন। বিজয়ী দলকে ট্রফি হিসাবে তা দেওয়া হত না তখন। ব্লাইয়ের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী লর্ডসে এমসিসি জাদুঘরে সেই পাত্রটি দান করে দিয়েছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement