—প্রতীকী চিত্র।
এক দিনের ম্যাচে নিয়মের বাইরে গিয়ে ১১ ওভার বল করলেন নিউ জ়িল্যান্ডের মহিলা দলের বোলার ইডেন কারসন। শুক্রবার শ্রীলঙ্কা মহিলা দলের বিরুদ্ধে নির্ধারিত ১০ ওভারের থেকে এক ওভার বেশি বল করেছেন কিউয়ি অফ স্পিনার। আইসিসির নিয়ম ভাঙায় শাস্তি হতে পারে তাঁর।
নিয়ম অনুযায়ী এক দিনের ম্যাচে এক জন বোলার সর্বোচ্চ ১০ ওভার বল করতে পারেন। সেই নিয়ম ভাঙল নিউ জ়িল্যান্ড। শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ৪৫তম ওভারে নিজের বোলিং স্পেল শেষ করেন কারসন। ১০ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন তিনি। অফ স্পিনারকেই আবার ৪৭তম ওভারে বল করতে ডাকেন অধিনায়ক সোফি ডিভাইন। ১১তম ওভার বল করার ডাক পেয়েও কিছু বলেননি কারসন। কোন বোলার কত ওভার বল করলেন, মাঠের দুই আম্পায়ারও সম্ভবত তার হিসাব ঠিক মতো রাখেননি। এমনকী শ্রীলঙ্কা মহিলা দলের পক্ষ থেকেও কোনও আপত্তি করা হয়নি। ফলে নির্বিঘ্নে ১১তম ওভার বল করেন কারসন। সেই ওভারে তিনি দেন ১ রান। খেলা শেষ হওয়ার পর বিষয়টি সকলের নজরে আসে। তৈরি হয় বিতর্ক।
আইসিসির নিয়মের ১৩.৯.১ ধারা অনুযায়ী কোনও ক্রিকেটার এক দিনের ম্যাচে ১০ ওভারের বেশি বল করতে পারেন না। নিয়ম ভেঙে ১১ ওভার বল করায় শাস্তি হতে পারে কারসেনের। শাস্তি হতে পারে নিউ জ়িল্যান্ড মহিলা ক্রিকেট দলেরও। সেই সিদ্ধান্ত নেবেন ম্যাচ রেফারি।
শুক্রবারের ম্যাচে আরও একটি বিতর্কিত ঘটনা ঘটে। নিউ জ়িল্যান্ডের দুই ব্যাটার খুচরো রান নেওয়ার সময় পিচের মাঝখান দিয়ে দৌড়ানোয় শ্রীলঙ্কাকে ৫ রান পেনাল্টি হিসাবে পেয়েছিল। এই ঘটনার সময় নিউ জ়িল্যান্ডের ব্যাটারদের সতর্ক করে দিতে ভোলেননি মাঠের আম্পায়ারেরা। প্রথমে ব্রুক হ্যালিডে পিচের মাঝখান দিয়ে দৌড়ানোয় সতর্ক করেন আম্পায়ারেরা। পরে লিয়া তাহুহু একই কাজ করায় শ্রীলঙ্কাকে ৫ রান দেওয়া হয়।
তাতেও অবশ্য লাভ হয়নি শ্রীলঙ্কার। শুক্রবারের ম্যাচ ১১৬ রানে হেরে গিয়েছে তারা। প্রথমে ব্যাট করে নিউ জ়িল্যান্ড তুলেছিল ৭ উইকেটে ৩২৯ রান। জবাবে ৪৮.৪ ওভারে ২১৩ রানে শেষ হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। তিন ম্যাচের সিরিজ়ের প্রথমটি জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। শুক্রবার নিউ জ়িল্যান্ড সমতা ফিরিয়েছে।